খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতনিধি : শরীয়তপুর সরকারী কলেজ মাঠে সরকারের দূর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার কারণে চাল, ডাল, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। একই স্থানে একই সময়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সমাবেশের আয়োজন করে। পরবর্তীতে পুলিশের বাঁধার মুখে কলেজ মাঠে সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে ২ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ১২টায় শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব আলম তালুকদারের বাস ভবনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, নব গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা নয় নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে বিএনপি। নির্বাচনের সময় তত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা কেমন হবে, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার অধীনে থাকবে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের কাছে অনুমতির চিঠি দিয়েও পুলিশ ও ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পূর্ব নির্ধারিত স্থান শরীয়তপুর সরকারী কলেজ মাঠে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। গত রাত থেকেই নেতা কর্মীদের বাড়ি গিয়ে পুলিশী হয়রানিরও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির নির্ধারিত কর্মসূচী শুরুর আগে থেকেই জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীদের মটর সাইকেলে মহরা দিতে দেখা গেছে। প্রতিকূল পরিবেশে অনেকটাই বাধ্য হয়ে জেলা বিএনপি নেতা মাহাবুব আলম তালুকদারের বাস ভবনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পুলিশি প্রহারায় শরীয়তপুর ত্যাগ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সমাবেশে যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ মিলন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এসএম জিলানী, জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব আলম তালুকদার, সাঈদ আহমেদ আসলামসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । অপর দিকে শরীয়তপুর সরকারী কলেজ মাঠে উপস্থিত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম শাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সভপতি সিরাজুল হক মোল্যা, জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদারসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ শরীয়তপুর মাদারীপুর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি সমাবেশ করার জন্য কলেজ মাঠ চেয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য দেয়ার বিধান নাই। তাছাড়া পুলিশ বিএনপির কোন নেতা-কর্মীকে হয়রানী করেনি।
কিউএনবি/আয়শা/২রা মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৪৯