আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকাজুড়ে এখন ছড়িয়ে আছে কেবল ধ্বংসস্তূপ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, দুই বছরের অব্যাহত বোমাবর্ষণে প্রায় ৭ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ জমেছে, যা ১৩টি পিরামিডের সমান। গাজার সরকারি গণমাধ্যম জানাচ্ছে, এই ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অসংখ্য মৃতদেহ এবং অবিস্ফোরিত বোমা রয়েছে। এদিকে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও থামেনি ইসরাইলি হামলা। একদিনে নিহত হয়েছেন আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি।
ইসরাইল লেবাননের বেকা উপত্যকা ও দক্ষিণাঞ্চলেও একাধিক বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। নেতানিয়াহু বাহিনী দাবি করেছে, এসব হামলায় হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডার ও ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। এরমধ্যেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসকে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, যদি হামাস গাজায় মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়, যা চুক্তির অংশ ছিল না, তবে তিনি তাদের হত্যা করতে বাধ্য হবেন। তবে তিনি কোনো প্রমাণ বা নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করেননি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, যদি হামাস গাজায় মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখে, যা চুক্তিতে ছিল না, তাহলে আমাদের সেখানে গিয়ে তাদের হত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। এই বিষয়ে আপনাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ! সম্প্রতি হামাস ও ইসরাইল-সমর্থিত স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে, যা ট্রাম্পের মন্তব্যের পটভূমি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেলে হামাসকে পরাস্ত করার জন্য একটি ‘সমন্বিত সামরিক পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, গাজা যুদ্ধে ইসরাইল তার সব লক্ষ্য অর্জন করবে এবং কেউ ইসরাইলের বিরুদ্ধে হাত তুললে তাকে কঠিন মূল্য দিতে হবে। অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, এসব বক্তব্যের মাধ্যমে ইসরাইল এখনো পূর্ণমাত্রার সামরিক প্রস্তুতি নিতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ অক্টোবর ২০২৫,/সকাল ১০:১৪