ডেস্ক নিউজ : সরকার পদত্যাগ না করলে অচিরেই আবার ‘রাজপথের কর্মসূচি’ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, নিশিরাতের সরকারের বিদায়ে ক্ষণগণনা চলছে। আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়ংকর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসী উদগ্রীব। আসন্ন দুর্বার আন্দোলনের আশংকায় সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
রুহুল কবির রিজভী এ সময় বলেন, আমরা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, সরকার এই মুহূর্তে পদত্যাগ না করলে মিটিং-মিছিল-শ্লোগান প্রতিরোধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ। সরকার গুম-অপহরণ-দুঃশাসন চালিয়ে যেভাবে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে তার পরিণতি হবে ভয়ংকর। গুম-অপহরণের ঘটনা আবারও শুরু হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সাম্প্রতিক র্যাব বাহিনী ও ৭ র্যাব-পুলিশ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপে পিছু হটায় গুম-খুনের আতংকে থাকা পরিবারগুলোতে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছিল। ইদানিং আবার পুরানো পৈশাচিক চেহারায় ফিরে এসেছে গুমের মতো ভয়াবহ অপরাধ।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন, কয়েকদিন আগে খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং বরগুনা উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকে কয়েকদিন গুম করে রাখার পর এখন থানায় দেওয়া হয়েছে। এই সরকারের অমানবিক আচরণের আবারো পুনরাবৃত্তি ঘটছে। গুম-অপহরণের ঘটনার সঙ্গে র্যাবের পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন বাহিনী জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাহিনী রূপে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান-র্যাবকে। এদের নিয়োজিত করা হয়েছে পৃথিবীর জঘন্যতম এই অপরাধ সংগঠনে। এরপরে রাষ্ট্রীয় আরেকটি বাহিনী গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশকেও গুম-অপহরণ-বন্দুকযুদ্ধে নামানো হয় গোটা দেশে।
তিনি বলেন, এখন সিআইডিকেও গুম-অপহরণে নামানো হয়েছে। এহেন পৈশাচিকতায় তাদের সাজানো গল্প একই থাকে, প্রথমে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া, অতঃপর কখনও অনন্তকালের জন্য অন্তর্ধান-নিখোঁজ, কখনও অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ারের হত্যা আবার কখনো রাস্তার ধারে অথবা ডোবা নালা বা নদীতে লাশ পাওয়ার রোমহর্ষক নাতসীয় বর্বরতা।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৪:১৫