
ডেস্ক নিউজ : অধিকাংশ সংসদ সদস্য অর্থপাচার ও দুর্নীতি নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনায় অনাগ্রহী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি। লুটেরা বিরোধী মঞ্চ, কানাডা’র আহ্বানে ‘বেগমপাড়া ও লুটেরা বিরোধী আন্দোলনের দ্বিতীয় বার্ষিকী ও দুর্নীতি-অর্থপাচার রোধে প্রবাসীদের করণীয়’ বিষয়ক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় এমপি রাশেদ খান মেনন বলেন, সংসদে অর্থপাচার ও দুর্নীতি নিয়ে সামান্য আলোচনা হয়।
কারণ সেখানে ব্যবসায়ীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তিনি আরো বলেন, বর্তমান কাঠামোয় অর্থসম্পদ পাচার, দুর্নীতি-অনিয়ম লুটপাট বন্ধ করা কঠিন। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কানাডায় লুটেরা বিরোধী আন্দোলন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। বাংলাদেশের যে সকল নাগরিকরা কানাডাসহ অন্যান্য দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তারা যেন তাদের বৈধ সম্পদ বিক্রী করে বিদেশে নিতে পারেন ও সে অর্থে দেশে বন্ড কিনতে পারেন, বিভিন্ন মেয়াদে তার সুবিধা নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
দুর্নীতি-অর্থপাচার ও বেগমপাড়া বিরোধী আন্দোলনের প্রশংসা করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বাংলাদেশের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছেন দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতিক, ব্যবসায়িক ও আমলারা। আমরা বাংলাদেশ থেকে যে কাজটি করতে পারিনি, কানাডার প্রবাসীরা সে কাজটি করেছেন। লুটেরাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। সভায় বেগমপাড়া ও লুটেরা বিরোধী আন্দোলকে কিভাবে অগ্রসর করা যায় এবং এ আন্দোলনকে শুধু কানাডায় নয়, বিশ্বের যে সব দেশে অর্থ পাচার হয় সেখানকার নাগরিকদেরকেও এগিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হয়।
কিউএনবি/আয়শা/৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:৫১