বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বর্তমান সময়ের এই কঠিন বাস্তবতার মাঝেই নেত্রকোনা পৌরসভা যেন ভিন্ন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে নেত্রকোণায় সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে বড়দিন উপলক্ষে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক ঢাবিতে ‘ডিকলোনাইজেশন অ্যান্ড মওলানা ভাসানী’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু চৌগাছায় পানিতে ডুবে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু চৌগাছায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা চৌগাছায় আগুনেপুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু নাভারন আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরির তিন কর্মকর্তার অপসরন দাবিতে মুল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, শীর্ষ সন্ত্রাসী দেলু গ্রেপ্তার

পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে মুখোমুখি দুই পক্ষ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৯২ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে দুই পক্ষ। আরো এক মাস আগে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছলেও একপক্ষ বলছেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের বই। আরেকপক্ষ বলছেন, কাজ না পাওয়া মুদ্রন সমিতির কয়েকজন নেতা নকল বই ছাপিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। তারা মূলত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার কাজে একটি সিন্ডিকেট প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে দরপত্র জমা দেয়। কিন্তু জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে। এরপর সিন্ডিকেট থেকে বেরিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান সেই পুনঃদরপত্রে অংশ নেয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় মূল্যায়ন কমিটি। সিন্ডিকেট ভেঙে যাওয়ায় সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা বাবদ প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। যারা কাজ পায়নি তারাই এখন মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বাংলাদেশ মূদ্রণ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা দেশের একাধিক উপজেলা থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই সংগ্রহ করেছি। সেখান থেকে কিছু স্যাম্পল বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) পাঠিয়েছি। এতে কাগজের জিএসএম, ব্রাইটনেস, ব্রাস্টিং ফ্যাক্টর কম পাওয়া গেছে। যার অর্থ শিক্ষার্থীদের হাতে মানহীন বই দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবো হবে। ’

তবে অন্যান্য মুদ্রন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছেন, বইয়ের যে নমুনা বিসিএসআইআর-এ পাঠানো হয়েছে তা মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। মূলত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই ষড়যন্ত্রে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট। তারা নিজেরাই নিম্নমানের কাগজে প্রাথমিকের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বই ছাপিয়ে তা পরীক্ষা করতে পাঠিয়েছে। কারণ উপজেলা পর্যায় থেকে তারা যে বই সংগ্রহ করেছেন এর প্রমাণ তারা দিতে পারবেন না। এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রতিবছর তিন স্তর পরিদর্শন শেষে মাঠপর্যায়ে বই ছাড় করা হয়। এরপর আবার ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠ পর্যায় থেকে বই সংগ্রহ করে মান যাচাই করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে তাদের ২০ শতাংশ অর্থ এই মান যাচাইয়ের পর ছাড় করা হবে। ফলে নিম্নমানের বই ছাপার সুযোগ নেই।

নাম প্রকাশ না করে একজন মুদ্রাকর জানান, সিন্ডিকেটে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ না পেয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। উচ্চ আদালতে মামলাও করেন তারা। মামলায় হেরে গিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ফের অপপ্রচারে সক্রিয় হন। তারা এখন নকল বই ছেপে বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ ছাড়া সামনেই ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের দরপত্র শুরু হবে। এবার যেন কোনো মুদ্রাকর ওই সিন্ডিকেটের বাইরে যেতে না পারেন সেজন্য নিম্নমানের বইয়ের অজুহাত তুলে ভয় দেখানো হচ্ছে।  

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit