শান্তা ইসলাম জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোণা পৌরসভার নিশিকান্ত সাহার পুত্রগণ ভূমি মালিকানার সাধারণ শর্ত সমূহ, যেমন- দলিল, বি.আর.এস খতিয়ান, এস.এ খতিয়ান, নামজারি- ইত্যাদি সকল কিছু থাকার পরও কেবল ভোগদখলকারীদের কারণে তিন প্রজন্মের বসতবাড়িতে উত্তরাধীকারের অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ সংক্রান্ত মামলা চলমান থাকলেও এরই মাঝে ডিসেম্বরে আদালতের শীতকালীন অবসরের সুযোগে প্রশাসনের নির্দেশকে অবজ্ঞা করে রাতের অন্ধকারে পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন বিবাদী পক্ষ। দখলকৃত ভূমির মালিকানার সপক্ষে ভোগদখলকারী পক্ষের মিলন কুমার সাহা জানান- প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৯৫ সালে এই জমি তার ভাই নিশিকান্ত সাহা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সেই কেনা-বেঁচা সংক্রান্ত কোন প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান- কোন দলিল নেই, স্থানীয় ভাবে একটি ‘দরবারে’র মাধ্যমে কেবল মৌখিকভাবেই এই জমি বিক্রি হয়েছিলো।
সেই দরবারের উপস্থিত স্বাক্ষীদের নাম জানতে চাইলে তিনি জানান- বর্তমানে স্বাক্ষীদের কেউ’ও বেঁচে নেই। কোন স্বাক্ষীই কি বেঁচে নেই? প্রতিনিধির এমন প্রশ্নে উত্তরে মিলন সাহা জানান যে- দুইজন স্বাক্ষী বেঁচে থাকলেও তারা বয়সের ভারে নূজ্য, কোন প্রকার আলোচনায় বসতে অক্ষম। এদিকে ২০০৮ সালে মৃত নিশিকান্ত সাহা রায় পরিবারের কেউ এই ভূমিতে নিজেদের অংশ বিক্রির কথা অস্বীকার করছেন।
বিক্রির পর প্রায় ১৩ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও কেন জমিটির দলিল করে নেয়া হয়নি জানতে চাইলে মিলন কুমার সাহা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং নিশিকান্তের পরিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই বিষয়ে বাদানুবাদে সেই ১৩ বছরে নিশিকান্তের হাত একবার ভেঙে দিয়েছিলেন তার ভাইয়েরা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নিশিকান্তের বিবাহযোগ্যা মেয়ে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলের নামে বিভিন্ন কুৎসা রটনা ও নারী কেলেংকারীর মামলা দিয়ে হেনস্তার স্বীকার হচ্ছে পরিবারগুলো।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ ডিসেম্বর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৫৫