মো আসাদুজ্জামান আসাদ দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বৈগ্রাম হতে বৈদ্যনাথপুর এলাকার চলাচলের একটি মাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়কের বেহাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। প্রায় ১০০০ মিটারজুড়ে রাস্তাটি ভাঙাচোরা হয়ে খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে এই রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বড়পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়পুকুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বড়পুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা সহ ব্যাংক এনজিও অফিস। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ছাড়াও কৃষক, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ এলাকার মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এ সড়কটি। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে ফুলবড়ি, পার্বতীপুর,বদরগঞ,খযেরপুকুরহাট রংপুর সহ আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করেন। কৃষিপণ্য ও লোড গাড়ি এই রাস্তা দিয়েই পরিবহন করে কিন্তু দীর্ঘ ১৪ ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় প্রতিদিন দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তা টি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে অধিগ্রহণের ফলে বাইপাস রাস্তা টি পাথর দিয়ে তৈরি করে দেন খনি কতৃপক্ষ। নিয়মিত যানবাহন চলাচলের কারণে পুরো রাস্তার বেশিরভাগ অংশে পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি ও ধারালো পাথরে নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। ফলে গাড়ি উল্টে যাওয়া, সহ নানা রকম দুর্ঘটনা নিত্য বিষয়। পরবর্তী তে এলাকা বাসি আন্দোলন করলে রাস্তা টি নতুন করে তৈরি করার আশ্বাস দেন কতৃপক্ষ কিন্তু অদৃশ্য কারনে ১৪ বছরেও রাস্তাটি হয়নি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝুমুর ইসলাম ও রিয়াদ বলেন, “আমাদের স্কুলে আসার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এখন রাস্তায় কয়লা ধুলা উড়ে নাকে মুখে পড়ে এতে করে কাশি হয়, বৃষ্টি হলে বেশী কষ্ট হয় কয়লার কাদা ইউনিফর্মে লাগলে কালো দাগ পড়ে। আমরা চাই এই রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হোক। স্থানীয় ভ্যান,অটো চালকেরা প্রতিদিন তাদের যানবাহনে কোননা কোন ক্ষতির মুখে পড়েন। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী প্রকাশ বাতাসু জানান, মাছ বিক্রি করতে ফুলবাড়ী বাজারে যেতে হয় প্রতিদিন। মাঝে মধ্যে রাস্তায় গাড়ি উল্টে যায়। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। সরকারের কাছে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর মুঠো ফোনে সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:০০