ক্রীড়া ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস লিগে প্যারিস সেন্ট–জার্মেইর (পিএসজি) সামনে দুর্দান্ত লড়াইও শেষ পর্যন্ত টিকল না টটেনহাম হটস্পার। দুইবার লিড নেওয়ার পরও প্যারিসের ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল স্পার্স। ইপিএলে গত ম্যাচে উত্তরের লন্ডন ডার্বিতে আর্সেনালের বিপক্ষে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের পর সমালোচনার মুখে ছিল টমাস ফ্র্যাঙ্কের দল। তবে ম্যাচের প্রথম ঘণ্টায় সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া এক রূপে ছিল তারা। ক্রমণ–প্রতিরক্ষায় ছিল ছন্দ, ছিল জয়ের ইচ্ছা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজির চাপ সামলে উঠতে পারেনি স্পারস। ৩৫ মিনিটে রিচার্লিসনের হেডে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম।
কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে বক্সের বাইরে থেকে ডান–পায়ের অসাধারণ শটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ড মায়েস্ট্রো ভিতিনিয়া। বিরতির পর পাঁচ মিনিট না যেতেই আবার লিড পায় স্পারস। জটলা থেকে বল ঠেলে গোল করেন পিএসজিরই সাবেক ফরোয়ার্ড র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি। তবে সেই মুহূর্ত থেকেই যেন জেগে ওঠে লুইস এনরিকের পিএসজি। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা আর আর্সেনালকে যেভাবে হারিয়েছিল, সেই ধ্বংসলীলার পুনরাবৃত্তি তারা ঘটায় মাত্র ১২ মিনিটে তিন গোল করে। দ্বিতীয় গোলও করেন ভিতিনিয়া এবার বাঁ–পায়ে দুর্দান্ত শটে পিএসজিকে ৫৩ মিনিটের মাথায় ম্যাচে ফেরান তিনি।
এর ছয় মিনিটের মাথায় ফেবিয়ান রুইজের গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর ৬৫ মিনিটের মাথায় স্পারস রক্ষণে ভাঙন ধরিয়ে স্কোরলাইন ৪-২ করে দেন উইলিয়ান পাচো। তবে হাল ছাড়েনি টটেনহ্যাম। ৭২ মিনিটে জোরালো শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে আবারও ম্যাচে ফেরার আশা জাগান মুয়ানি। তবে মাত্র চার মিনিট পরই সব আশা নিভিয়ে দেয় পিএসজি। ভিতিনিয়ার দারুণ এক শট গোলের দিকে যাওয়ার পথে বক্সে স্পার্সের রক্ষণে হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিজের আদায় করে নেয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ভিতিনিয়া। এতে ৫-৩ গোলে এগিয়ে গিয়ে টটেনহামকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় পিএসজি। তবে শেষ সময়ে স্পার্সের সাবেক পিএসজি খেলোয়াড় জাভি সিমন্সকে কনুই দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বদলি নামা লুকাস হার্নান্দেজ।