স্পোর্টস ডেস্ক : বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পা রাখলো শ্রীলঙ্কা। ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে থেমেছে স্বাগতিকরা। ইনিংসের শেষ ওভারে ৩ রানের বেশি পাকিস্তানকে তুলতে না দিয়ে লঙ্কানদের জয়ের নায়ক পেসার দুশমন্থ চামিরা।
এ পেসার অবশ্য শুরুতেও জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। রান তাড়ায় নেমে মাত্র ৪৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। যার ৩টিই তুলে নিয়েছিলেন চামিরা। তার তোপে শাহিবজাদা ফারহান ৭ বলে ৯, বাবর আজম ২ বলে ০ আর ফখর জামান ৩ বলে ১ রান করে বিদায় নেন। পাকিস্তান শুরুর দিকে রান পেয়েছিল সাইম আইয়ুবের ব্যাট থেকে। ১৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করা এ ব্যাটারকে বোল্ড করেন ইশান মালিঙ্গা।
পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সালমান আলী ও উসমান খান। দুজনের ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২৩ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩৩ রান করে আউট হন উসমান। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গ নিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান সালমান। ১৬ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৭ রান করে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন নাওয়াজ। জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল ১০ বলে ১৬ রান। ইশান বাকি ৪ বলে ৬ রান খরচ করেন। তাতে শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১০ রানের। কিন্তু চামিরার একের পর এক ইয়র্কারে সে রান করতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। হেরে যায় ৬ রানের ব্যবধানে। তাতে কপাল পোড়ে জিম্বাবুয়ের। কারণ এ ম্যাচ পাকিস্তান জিতলে ফাইনালে জায়গা পেতো তারা।
৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের জয়ের নায়ক চামিরা। ম্যাচসেরা ও সেরা বোলারের পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কামিল মিশারা ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের পুঁজি পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ৪৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৬ রান বরেন কামিল। ২৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করেন কুশল। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আব্রার আহমেদ।
আগামী ২৯ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। টানা তিন জয়ে আগেই ঘরের মাঠের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে এক ম্যাচে হারিয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কা হারলে পূরণ হতো তাদের সে আশা। তবে চার ম্যাচের মধ্যে দুটি জিতে তাদের স্বপ্ন ভেঙেছে হাসারাঙ্গারা।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১১:৫০