ক্রীড়া ডেস্ক : স্টামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার ছিল চেলসির পুরোনো দিনের সেই দাপুটে আবহ। ‘নিস্তেজ ও সমস্যাগ্রস্ত’ বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে সরাসরি শেষ-১৬–এ ওঠার সম্ভাবনা আরো পোক্ত করল লন্ডনের ক্লাবটি। ম্যাচের শুরুতে এনজো ফার্নান্দেজ ও পেদ্রো নেতোর প্রচেষ্টায় চাপ তৈরি করতে থাকে চেলসি। তারই ধারাবাহিকতায় ২৭ মিনিটে কুকুরেয়ার নিচু ক্রসে ডিফেন্ড করতে গিয়ে জুলেস কুন্দের আত্মঘাতী গোল, আর তাতেই এগিয়ে যায় ব্লুজরা।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ঘটে ম্যাচের মোড় ঘোরানো ঘটনা। কুকুরেয়াকে আটকাতে গিয়ে দ্বিতীয় হলুদ দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সেলোনা অধিনায়ক রোনাল্ড আরাউহো। ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে কাতালানরা পুরো ম্যাচেই ছুটতে থাকে ছায়া হয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির শারীরিক ও টেকনিক্যাল আধিপত্য আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।৫৪ মিনিটে আলো ছড়ান ১৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান বিস্ময়বালক এস্তেভাও। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ এক পাওয়ার শটে জালে বল পাঠিয়ে তিনি স্কোর ২-০ করেন। ম্যাচের সেরা গোল নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনায় ভাসান এই কিশোর ফরোয়ার্ড।
৭৩ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের নিখুঁত ক্রস থেকে লিয়াম ডিলাপ জালে বল ঠেলে দিলে ৩-০ গালের জয় পায় চেলসি। এদিকে চেলসির আরো তিনটি গোল অফসাইড ও হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয়। অন্যদিকে বার্সার তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামাল ছিলেন পুরোপুরি নিষ্প্রভ। কোনো প্রভাব ফেলতে না পেরে ম্যাচের শেষ দিকে তাকে উঠিয়ে নেন কোচ। এই জয়ে চেলসি গ্রুপে শীর্ষ আটে উঠে সরাসরি নকআউটের পথ প্রায় নিশ্চিত করেছে। সামনে তাদের প্রতিপক্ষ পাফোস, আতালান্তা ও নাপোলি। অন্যদিকে বার্সেলোনা এখন প্লে-অফ এড়াতে বাকি তিন ম্যাচ, ফ্রাঙ্কফুর্ট, স্লাভিয়া প্রাগ ও এফসি কোপেনহেগেন।
কিউএনবি / মোহন / ২৬ নভেম্বর ২০২৫ / সকাল ১০:৫৭