শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন

‘খ্যাতি আমার জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে’

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৮ Time View

বিনোদন ডেস্ক : অস্কারজয়ী সংগীতপরিচালক ও সুরকার এআর রহমান বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রথমবারের মতো নিজের ব্যক্তিগত চাপ, খ্যাতির মূল্য এবং জীবনযাপনের সংকট নিয়ে কথা বলেন।  সংগীত তারকার কথায় স্পষ্ট— গ্ল্যামারের আলো যত উজ্জ্বলই হোক, তার আড়ালে লুকিয়ে থাকে শিল্পীর অগোচর অজস্র ত্যাগ, নীরবতা আর অস্বস্তি।  ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ সিনেমায় সুর দিয়ে বিশ্বজয় করা এ সংগীতগুরু ব্যক্তিগত সংসারজীবনে ২৯ বছর কাটিয়েছেন স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে। তবে গত বছর হঠাৎ করেই তারা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।

যদিও সেই সময় বিচ্ছেদের কারণ প্রকাশ্যে আনেননি এআর রহমান কিংবা সায়রা। তবু সম্পর্কভাঙার পরও স্বামী সম্পর্কে কুকথা শুনতে নারাজ সায়রা বানু। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সম্পর্ক যাই থাকুক, রহমানের প্রতি মানুষের সম্মান তার কাছে অটুট। কিন্তু এ সম্পর্কভাঙার পর আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে— খ্যাতির বোঝা এবং তা রহমানের ব্যক্তিগত জীবনে যে চাপ সৃষ্টি করেছে। ‘চেন্নাইতে থাকা ও খ্যাতি— দুটোই আমার জীবন বদলে দিয়েছে।’ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বলেন এআর রহমান। 

এ সংগীতপরিচালক বলেন, চেন্নাইতে থেকে জীবন পরিচালনা করা যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে ততটা নয়। খ্যাতি তাকে যেমন জনপ্রিয়তা দিয়েছে, ঠিক তেমনই কেড়ে নিয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপনের স্বাধীনতা। এ অস্কারজয়ী বলেন, চাইলেই বিদেশে গিয়ে থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি কখনো চেন্নাই ছাড়িনি। এখানেই থেকেছি। কিন্তু এখানকার মানুষ আমাকে এত ভালোবাসেন যে, ব্যক্তিগত জায়গাটা প্রায় হারিয়ে ফেলেছি। খ্যাতির কারণে ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো কেমন বাধাগ্রস্ত হয়, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এআর রহমান বলেন, আমি খুব একটা বাইরে বের হই না।

বের হলেই ছবি তোলার অনুরোধে পড়তে হয়। এমনকি ভ্রমণে থাকলেও মানুষ বুঝতে চায় না। বিমানবন্দরে, পথে— সবার লক্ষ্য থাকে ছবি তোলা। তিনি বলেন,  কোনো বিয়েবাড়িতে খেতে গেলেও একই দৃশ্য। আমি হয়তো প্লেট হাতে বসেছি, ঠিক তখনই লোকজন ছুটে আসে ছবি তুলতে। আমি বললেও কথা শোনে না। কারণ তাদের কাছে সেই ছবিটা খুবই জরুরি। তাই এখন আর বিয়ের দাওয়াতে খেতে যাই না। এ সংগীত পরিচালক বলেন, জনপ্রিয়তার মূল্য অনেক বড়।

খ্যাতি আমার জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। কিছু জায়গায় স্বাধীনতা বলতে কিছুই আর নেই। বিদেশের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভিন্ন বলে মনে করেন এআর রহমান। তিনি বলেন, বিদেশে গেলে কেউ এমনভাবে বিরক্ত করেন না। ন্যূনতম ব্যক্তিগত পরিসরটা মানুষ সম্মান করে। কিন্তু দেশে জনমুখী হওয়াটাই যেন এক ধরনের চ্যালেঞ্জ।তিনি বলেন, তবু তিনি দেশছাড়ার কথা কখনো ভাবেননি। সবকিছু সত্ত্বেও এখানেই থেকেছি, এখানেই কাজ করেছি। আমার মাটির প্রতি টান আমাকে দেশে ধরে রেখেছে বলে জানান এ অস্কারজয়ী।

 

কুইক নিউজ / মোহন / ২২ নভেম্বর ২০২৫ / বিকাল ৪:৫০

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

November 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit