স্পোর্টস ডেস্ক : বুধবার (১২ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫২ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন সকালে বাকি দুই উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। হাসান মাহমুদ ও তাইজুল ইসলাম উইকেট দুটি ভাগাভাগি করেছেন।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৮৫ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৩৮ রান। ক্যারিয়ারসেরা ১৬৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন জয়। মুমিনুল হক অপরাজিত ৮০ রানে।
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার এক ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটারই অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। প্রথমবার ২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
আগের দিনই হাসান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, উইকেট ব্যাটিংবান্ধব। আজ ব্যাটিংয়ে নেমে সেই সুবিধার পুরোটুকুই কাজে লাগিয়েছে টাইগাররা। লাঞ্চের আগে কোনো উইকেট না হারিয়েই ২৪ ওভারে ১০৯ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনারই এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ২০২২ এর মে’র পর প্রথমবারের মতো ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ দেড়শ’র বেশি রান তুলে ফেলে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের শিকার সাদমান।
হাম্ফ্রিসের বল তার ব্যাটের নিচের কোনে লেগে উইকেটকিপার টাকারের হাতে যায়। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেনি সাদমান, ১০৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান করে বিদায় নেন।
সাদমানের বিদায়ের পর খেই হারাননি জয়। অভিজ্ঞ মুমিনুলও দিয়েছেন দারুণ সঙ্গ। তৃতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারে (৫৬.২ ওভার) জর্ডান নিলের বলে চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাদ পড়ার পর এই টেস্ট দিয়ে ফেরাটা স্মরনীয় করে রাখলেন তিনি।
দিনের বাকিটা সময় জয়-মুমিনুলের সাবলীল ব্যাটিংয়ে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিকে টেনে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে রূপ দিয়েছেন জয়। ২০২২ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা ১৩৭ রানের ইনিংস ছাপিয়ে অপরাজিত আছেন ২৮৩ বলে ১৬৯ রান করে। এই ইনিংস খেলেছেন ১৪ চার ও ৪ ছক্কার মারে।
ক্যারিয়ারের ২৩তম অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন মুমিনুল। ১২৪ বলে ৫চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রানে ব্যাট করছেন তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/১২ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ৮:০০