কোরআনে জুমার আলোচনা
প্রত্যেক সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ পড়া ফরজ। এ নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়। এ কারণেই মহান আল্লাহ জুমার দিন দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ অর্থ: হে ঈমানদারগণ, যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পারো। (সুরা জুমা ৯)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে এ দিনে ৮টি করণীয় উল্লেখ করেছেন।
১. গোসল করা (বুখারি: ৮৭৭)
২. মিসওয়াক করা (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)
৩. উত্তম পোশাক পরিধান করা (আবু দাউদ: ৩৪৩)
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা (বুখারি: ৮৮০)
৫. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা (বুখারি: ৯১১)
৬. নামাজের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই নামাজ আদায় করা (আবু দাউদ: ৮৬২)
৭. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ নামাজের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা (বুখারি: ৯৩০)
৮. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া (মুসলিম: ১৪০০)
৯. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা (আবু দাউদ: ১১০৮)
১০. ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা। তবে কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে চুপ করতে বা বারণ করতে বলাও অনর্থক কাজ। (আবু দাউদ: ১১১২) উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য এ জুমা ও তার পূর্ববর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। (আবু দাউদ: ৩৪৩)