ডেস্ক নিউজ : রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ নুড়িতলার বিলের কচুরিপানার নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত কিশোর আমিনুল বিশ্বাস নড়াইল সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের ছোট মিতনা গ্রামের কিনায়েত বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন।
আটক মিনারুল সদর উপজেলার চাচড়া গ্রামের বাহারুল বিশ্বাসের ছেলে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮টায় আমিনুল বিশ্বাস ওরফে আলিফ তার বাবাকে বাজার করার জন্য টাকা দেন। পরে কোনো এক ব্যক্তির ফোনে পেয়ে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
ওই রাতে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর মা রোজিনা বেগম সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ (ডিবি) পুলিশের একাধিক টিম নিখোঁজের সন্ধানে মাঠে নামেন। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী নিখোঁজ কিশোর আমিনুলের বাড়িতে যান। পরে সন্দেহভাজন মিনারুল বিশ্বাসকে (২২) আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
অভিযুক্তের দেয়া তথ্যে একই উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ নুড়িতলার বিলের কচুরিপানা নিচ থেকে নিহত আমিনুলের অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের বাবা-মা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহত আমিনুলের মা রোজিনার আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আশপাশের পরিবেশ। কান্না জড়িতকণ্ঠে বলেন, ‘হাঁসের মাংস দিয়ে ভাতে খেয়ে বাবা আমার বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো। কি দোষ ছিল আমার বাবার!’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী সময় সংবাদকে বলেন, ‘নিখোঁজ জিডির তথ্য পেয়ে ভিকটিমের সন্ধানে একাধিক টিম অনুসন্ধান চালাই। সন্দেহভাজন মিনারুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেই মরদেহের সন্ধান দেয়। আমিনুলের হত্যার কারণ ও এ ঘটনার সঙ্গ কাদের সম্পৃক্ততা আছে, সেটা জানতে আমাদের তদন্ত চলমান আছে।’পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেন জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা।
কিউএনবি/আয়শা/০৫ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:৪০