আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তির্যক মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ট্রাম্প তার ‘রাগের সমস্যা’ নিয়ে কটাক্ষ করার পর থুনবার্গ পাল্টা মন্তব্যে ইঙ্গিত দেন— হয়তো ট্রাম্পেরই নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যের প্রয়োজন।
তিনি আরও লিখেছেন, এই তথাকথিত ‘রাগ নিয়ন্ত্রণ সমস্যা’ মোকাবিলায় আপনার যদি কোনো পরামর্শ থাকে, আমি তা সানন্দে গ্রহণ করব— কারণ আপনার অতীত আচরণ দেখলে মনে হয়, আপনি নিজেও এই সমস্যায় ভুগছেন।
ইসরাইলের হাতে গ্রেফতার ও পরবর্তীতে দেশ থেকে বহিষ্কারের পর ট্রাম্প থুনবার্গকে ‘রাগী’ ও ‘বিতর্ক সৃষ্টিকারী’ বলে মন্তব্য করেন। ইসরাইলি নৌবাহিনী সম্প্রতি গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে ৪৪টি নৌযানের বহর আটকে দেয়, যা গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাচ্ছিল।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, সে (গ্রেটা) কেবল একজন ঝামেলাবাজ। এখন আর পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে না, বরং তার রাগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা আছে। আমার মনে হয়, তার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। আপনি কি কখনও তাকে দেখেছেন? সে এক তরুণী, কিন্তু সব সময় এত রেগে থাকে, যেন পাগল হয়ে গেছে।
এটাই প্রথম নয়, ট্রাম্প ও থুনবার্গের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার বাকযুদ্ধ হয়েছে। চলতি বছরের জুনে গাজায় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার প্রথম মিশনে নামলে ট্রাম্প তাকে ‘অদ্ভুত’ ও ‘রাগী’ বলে আখ্যা দেন। জবাবে থুনবার্গ লিখেছিলেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও জাতিসংঘে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বক্তৃতার পর থুনবার্গকে ব্যঙ্গ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, খুবই খুশি এক তরুণী মেয়ে, যিনি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন।
২০১৮ সালে ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া গ্রেটা থুনবার্গ এখন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমেও সক্রিয়। গাজায় সহায়তা পাঠাতে গিয়ে আটক হওয়ার পর সোমবার তিনি গ্রিসে পৌঁছান। গ্রিসে পৌঁছানোর পর প্রায় ১৬০ জন সহকর্মীর সঙ্গে তাকে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্বাগত জানানো হয়। ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজাগামী সেই নৌবহর থেকে মোট ১৭১ জন কর্মীকে ইসরাইল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সূত্র: পলিটিকো
কিউএনবি/আয়শা/০৭ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১১:০৪