বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান

‎জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট
  • Update Time : রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২১ Time View

‎জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা ও নদী রক্ষার দাবিতে “তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন”-এর উদ্যোগে লালমনিরহাটে পদযাত্রা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।‎রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দগণ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।‎এর আগে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় “হামার বাড়ি” থেকে নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একটি পদযাত্রা বাহির করেন। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।


‎স্মারকলিপিতে বলা হয়, তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় নদীটি প্রায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। ফলে রবি মৌসুমে পানি সংকটে কৃষকরা চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন, শুষ্ক মৌসুমে তীব্র পানির অভাব দেখা দিচ্ছে এবং বর্ষায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তা অববাহিকার বিস্তীর্ণ জনপদ।


‎আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিস্তা নদী বাঁচাতে অবিলম্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী খনন, তীর সংরক্ষণ, সেচব্যবস্থা উন্নয়ন এবং আধুনিক তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।‎স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, তিস্তা মহাপরিকল্পনার আওতায় নদী পুনঃখনন ও নদীতীর সংরক্ষণের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। স্থানীয় জনগণ ও কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে তিস্তা ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করতে হবে। পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। নদী দখল, বালু উত্তোলন ও দূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।‎তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, “তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের গণমানুষের প্রাণ”। এই নদী টিকিয়ে রাখা মানে লাখো মানুষের জীবন, কৃষি ও পরিবেশ বাঁচিয়ে রাখা।


‎এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্রের পক্ষে সমন্বয়ক একেএম মমিনুল হক, এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, আফজাল হোসেন, সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু সহ  সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমরা আশা করি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।


কিউএনবি/অনিমা/০৫ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৪:৫২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit