মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২০ অপরাহ্ন

ফের আলোচনায় ভারতের সুপার স্পাই অজিত দোভাল

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ Time View

নিউজ ডেক্সঃ   দীর্ঘ সাত বছর পর চীনে পা রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পা রেখেই দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কথা বলেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও। সেই বৈঠকে মোদির সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকেও দেখা যায়। কয়েক বছর ধরেই তিনি মোদির পাশে আছেন ছায়ার মতো। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের মে মাসে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় অজিতকে। কারণ তার নখদর্পে রয়েছে পাকিস্তানের ভেতর-বাইরের সব খবর। সুপার স্পাই খ্যাতি লাভ করা অজিত দোভাল নাকি পাকিস্তানের কাটিয়েছেন আট বছর। গোপনে চালান করেছেন গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য।

হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হয়ে উঠেছে ভারত। বলা নেই কওয়া নেই, আচমকা ভারতের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। নয়াদিল্লি পাশে পাচ্ছে চীনকেও। ২০২০ সালে ভারতের সীমান্ত সংঘাতে জড়ানো চীন, নিজে থেকেই নয়াদিল্লির দিকে বাড়িয়েছে বন্ধুত্বের হাত। তাই সাত বছর পর মোদিকেও দেখা গেল চীনের মাটি স্পর্শ করতে।

কিন্তু এই সফরে মোদি নয়, আলোচনার কেন্দ্রে অজিত দোভাল। পাঁচ বছর আগে কারিশমা দেখিয়েছিলেন তিনি। সে সময় করোনার কারণে এসসিও সদস্য রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক হয়েছিল অনলাইনে। পাঁচ বছর আগের সেই বৈঠকে ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে অজিত নিয়েছিলেন কঠোর অবস্থান। এমনকি অনলাইন সেই বৈঠক থেকেও বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

সময়টা ছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। তখন অনলাইন সেশনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি ড. মোইদ ইউসুফ নতুন একটি রাজনৈতিক মানচিত্র প্রদর্শন করেন। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীর এবং জুনাগড়কে পাকিস্তানের হিসেবে দেখানো হয়। এটা স্পষ্টভাবে এসসিওর নীতির পরিপন্থি ছিল। সংস্থাটির নীতি অনুযায়ী, দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বকে বহুপাক্ষিক ফোরামে নিয়ে আসা যাবে না।

তাই সঙ্গে সঙ্গেই আপত্তি জানায় ভারত। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিল রাশিয়া। তখন রাশিয়া বারবার চেষ্টা করে পাকিস্তান যেন সেই মানচিত্র সরিয়ে নেয়। কিন্তু রাশিয়ার অনুরোধ সত্ত্বেও পাকিস্তান তার অবস্থান বজায় রাখায় সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান অজিত। এর মাধ্যমে ভারত এই বার্তা দেয় যে, নিজেদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

অজিতের জীবন গোয়েন্দা কাহিনির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের আন্ডারকাভার সুপার স্পাই ছিলেন অজিত। মুসলিম ধর্মীয় নেতার বেশ ধারণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতেন তিনি। অজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা গোপনে চালান করতেন ভারতে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ভারত কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়। অভিজ্ঞ এই গোয়েন্দা নিজ দেশেও বিভিন্ন মধ্যস্থতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অজিত।

অনলাইন নিউজ ডেক্সঃ
কুইক এন ভি/রাজ/০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫/ সকালঃ ১১.৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit