আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অভিযানে দুই ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার সকালে ইসরায়েলি সৈন্যরা জেনিনের দক্ষিণে অবস্থিত ক্বাবাতিয়া শহরে ঢুকে একটি ছাউনি ঘিরে ফেলে এবং সেখানে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে ছাউনিটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিহতদের লাশ নিয়ে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা ক্বাবাতিয়ার কাছে একটি কৃষি গোয়ালঘরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার পরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই আল-খালিলের কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এক ফিলিস্তিনি যুবক সরাসরি গুলিতে আহত হন এবং অন্যরা টিয়ার গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্টে ভোগেন।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি বাহিনী শহরের কেন্দ্রে ঢুকে বেসামরিক নাগরিক ও দোকানপাটের দিকে সরাসরি গুলি, টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। টিয়ার গ্যাসের কারণে বেশ কয়েকজন শ্বাসকষ্টে ভুগলে ঘটনাস্থলেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কমিশন ফর ডিটেইনিস অ্যান্ড এক্স-ডিটেইনিস অ্যাফেয়ার্স, প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি এবং অ্যাডামির প্রিজনার সাপোর্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের রবিবার প্রকাশিত একটি যৌথ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং আল-কুদস থেকে সাড়ে ১৮হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে অপহরণ করেছে।
এই প্রতিবেদনে নারী আটকের সংখ্যায় ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানানো হয়, যেখানে অন্তত ৫৭০ জন ফিলিস্তিনি নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। ইসরায়েলের এই গণহত্যার পর থেকে শুধুমাত্র পশ্চিম তীরেই ১,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৯৪ জনেরও বেশি সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ জন এখনও কারাগারে রয়েছেন।
সূত্র: প্রেস টিভি
কিউএনবি/অনিমা/৪ আগস্ট ২০২৫/রাত ৮:৫৯