জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সিরীয় শাখা আল নুসরা ফ্রন্টের অপর নাম এইচটিএস। ২০১৬ সালে এটাকে স্বাধীন সংগঠন ঘোষণা করেন আহমেদ আল শারা। সেই সময় জঙ্গি নেতা হিসেবে তার নাম ছিল মোহাম্মদ আল জোলানি। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ২০১৮ সালে একেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ওয়াশিংটন। এমনকি আহমেদ আল শারার মাথার বিনিময়ে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে।
গত বছরের শেষের দিকে এই আহমেদ আল শারার নেতৃত্বে আকস্মিক অভিযানের মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপর নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক এইচটিএস নেতা আহমেদ আল শারা। এরপর এইচটিএসকে নিষ্ক্রীয় ঘোষণা করেন তিনি।
বাশার আল আসাদের পতন ও সাবেক জঙ্গি আহমেদ আল শারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো দ্রুতই সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নেয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও পশ্চিমা অনেক নেতা সম্প্রতি তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
শুধু তাই নয়, ট্রাম্প প্রশাসন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যা সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সময় আরোপ করা হয়েছিল। এবার এইচটিএসকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’র তালিকা বাদ দেয়া হলো। রুবিও বলেন, ‘গত ১৩ মে সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি অনুসারে আমি অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের অধীনে আল-নুসরা ফ্রন্ট, যা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামেও পরিচিত, এর বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) তকমা প্রত্যাহার ঘোষণা করছি।’
দামেস্ক মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে একে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অভিহিত করে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা ‘একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ যা পূর্বে গঠনমূলক যোগাযোগকে বাধাগ্রস্ত করেছিল’।