আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, দিন দিনই জোড়ালো হচ্ছে ইরান-ইসরাইল সংঘাত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি, তেহরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে হবে। ভাবছেন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ হামলা চালানোর কথাও।
দাবি করেছেন, ইরানের আকাশসীমা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার। ট্রাম্পের এমন অবস্থানের পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে যায় ৪.৪ শতাংশ; প্রতি ব্যারেলের দাম উঠে ৭৬ ডলার ৪৫ সেন্টে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েড’র দামও ৪.৩ শতাংশ বেড়ে উঠে যায় ৭৪ ডলার ৮৪ সেন্টে।
ফুজিটোমি সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক তোশিতাকা তাজাওয়া বলেন, ‘ইসরাইলের হামলার কারণে ইরানের তেল উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে, তবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে।’ইরান-ইসরাইল সংঘাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার খবরে অবশ্য পতন দেখে তার নিজ দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০। কমে যায় ০.৮৪ শতাংশ, আর নাসডাগ কম্পোজিট কমে ০.৯১ শতাংশ। খবর আলজারিরার।
এর আগে শিল্পখাতের এক সূত্রের বরাতে মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলমান সংঘর্ষের ফলে তেল উৎপাদনে কোনো ক্ষতি হয়নি। এখনও ওপেকভুক্ত দেশগুলোর অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। ইরান-ইসরাইল উভয়েই একে অপরের জ্বালানি অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালালেও প্রধান তেল রফতানির কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানেনি।
তবে হরমুজ প্রণালী দিয়ে পরিবহন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজার। কারণ, এই প্রণালী দিয়েই দৈনিক গড়ে বিশ্বের ২০ শতাংশ জ্বালানি পরিবহন হয়ে থাকে।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ জুন ২০২৫, /বিকাল ৫:৪৪