মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন

ভূরুঙ্গামারীতে শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

মাঈদুল ইসলাম মুকুল, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ।
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
  • ২৬ Time View

মাইদুল ইসলাম মুকুল ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা মাধ্যমিক ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দুটি পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূণ্য থাকায় কার্যত অচল হয়ে পরেছে এ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম। এতে  ভোগান্তিতে পরছেন শিক্ষকরা। মনিটরিং  না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান চলছে নিজেদের ইচ্ছামত।

জানাগেছে, প্রায় ৬ মাস আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বদলী হয়য়ে অন্যত্র চলে যান। তার আগেই সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদ হোসেনও বদলী নেন। এরপর পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী  উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল হাসানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি সপ্তাহে ১ দিন বা দুই সপ্তাহে ১দিন অফিস করেন। 

উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও তিলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় এবং বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় উপজেলার মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামান্য কাজের জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয় আমাদের।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের মাসে অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নির্দেশরা থাকলেও আমার বিদ্যালয়ে ৩ বছরে কোন পরিদর্শন করা হয়নি। নিয়মিত পরিদর্শন না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান ২/৩ টার মধ্যে ছুটি হয়ে যাচ্ছে।
সোনাহাট কলেজের অধ্যক্ষ ও সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, এক কথায় বলা যায় মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দার প্রান্তে। এজন্য তিনি দ্রুত অফিসার নিয়োগের দাবী করেন।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুর রহমান জানান, অফিসার নাথাকায় তাকেই অফিসের সকল কাজকর্ম করতে হচ্ছে। একারণে অফিসের কাজকর্ম করে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব সম্ভব হয়না। তিনি জানান, উপজেলায় ৩৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৫টি,১৯টি মাদরাসা, ৬টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও  ৫টি কলেজ আছে। অফিসে কোন যানবাহন নেই, যাতায়তের কোন ভাতা নেই।  তাই এমতাবস্থায় এতগুলো প্রতিষ্ঠান তদারকী করা প্রায় অসম্ভব।

নাগেশ্বরী  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, আমি বড় একটি উপজেলার দায়িত্বে রয়েছি। ওই দায়িত্ব পালন করে প্রতিদিন এখানে আসা সম্ভব নয়। একাডেমিক সুপারভাইজারের দ্বারা গুরত্বপূর্ণ কাজ গুলো করে নেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় ওই দপ্তরের আমি কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছিনা। জেলায় বারবার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলমের সাথে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

কিউএনবি/আয়শা/১৭ জুন ২০২৫, /বিকাল ৫:৩২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit