ডেস্ক নিউজ : কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখে মাঠে গরুর হাট বসায় ইজারাদার। ওই তথ্য পেয়ে বিদ্যালয় মাঠ থেকে বাজার অপসারণে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাজার পরিচালনাকারী যুবদল নেতা মো. আক্তারুজ্জামান। পরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেন ওই যুবদল নেতা।
একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্য ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তা দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অবস্থান নেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেন বাজার পরিচালনাকারী ও দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে চান্দিনা উপজেলার যেসব স্কুল মাঠে গরুর হাট বসেছে ওই সব হাটে সরেজমিন ঘুরে তথ্য নিয়ে এবং উপজেলা প্রশাসনের মন্তব্য নিয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদ প্রশাসনের নজরে এলে অভিযানে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। চান্দিনা উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মাওলানা আবুল খায়ের বলেন, আক্তারুজ্জামান দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি। তবে গরুর বাজার নিয়ে ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নুর জানান- সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্কুল মাঠে গরুর বাজার বসানো হয়। আমরা অভিযানে গেলে বাজার পরিচালনাকারী ও ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামানের উসকানিতে তার লোকজন সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেয়।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গরুর বাজার বসানোর খবর পেয়ে মাঠ থেকে বাজার অপসারণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করতে যায়। এ সময় ইজারাদারের লোকেরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসদাচরণ করে। পরে সেনাবাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ইজারাদার ক্ষমা প্রার্থনা করে মুচলেকা দেয়।
কিউএনবি/আয়শা/০৩ জুন ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:৫২