ডেস্কনিউজঃ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠনকল্পে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডুয়া অডিটোরিয়ামে এক সাধারণ সভা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত সচিব (অব:) জনাব একেএম মাসুদুর রহমান মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১৯৮৪-৮৫ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী ও র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহীদুর রহমান, ১৯৮৪-৮৫ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডঃ লুৎফর রহমান, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির এমডি ও সিইও হুমায়ুন কবির, ডাকসুর সাবেক সদস্য খোরশেদ আলম, ১৯৮৩-৮৪ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল সংসদের সাবেক জিএস মাসুম আহমেদ, ১৯৮৩-৮৪ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব আহমেদ, ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী রাজনীতিবিদ ও লেখক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ বিমান-এর পরিচালক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ) যুগ্ম-সচিব আব্দুর রফিক, বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ জনাব ফারুক, ডিএমপি’র এসপি শাহিন, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম আব্দুল হাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ডঃ নাসির আহমেদ, পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রহিম, মুনির মাতুব্বর, মোঃ মিজানুর রহমান সোহাগ, মাহাবুব আরেফিন, শরীফ উদ্দিন বাবু, আব্দুস সালাম খান আউয়াল, রাজীব হোসেন, আব্দুর রফিক জয়, আব্দুল জলিল আকন্দ, মামুনুর রশীদ, নাজমুস সাকিব, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম আব্দুল হাই সহ হলের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর সাধারণ সভায় সমবেত সাবেক ছাত্রগণ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ২২তম বিসিএস (শিক্ষা) কর্মকর্তা মোঃ আবুয়াল কায়সার, জনাব আরেফিন ও ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান সাজ্জাদ।
বিস্তারিত আলোচনা শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডঃ লুৎফর রহমানকে আহবায়ক, লুৎফর রহমানকে ষুগ্ম-আহবায়ক ও ব্যারিস্টার শাহীন আহমেদকে সদস্য সচিব করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর তিন সদস্য বিশিষ্ট ঘোষিত আংশিক কমিটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডঃ লুৎফর রহমান আহবায়ক, যুগ্ম -আহবায়ক রাজনীতিবিদ ও লেখক লুৎফর রহমান এবং ব্যারিস্টার শাহীন আহমেদ সদস্য সচিব মনোনীত হন।
সাধারণ সভায় র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেন, জহুরুল হক হল ছাড়ার পর এর আগে মাত্র একবার আসার সুযোগ হয়েছিল। আজকে আবার সেই সুযোগ যারা করে দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। নতুন কমিটিতে যারা আসবেন তারা যেন সবার জন্য কাজ করেন সেই কামনা করছি। এখানে সবাই যাতে এক জায়গায় বসতে পারি এইটা নিশ্চিত হলে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য সাধিত হবে।
স্বাগত বক্তব্যে যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সমস্ত রাজনীতির উর্ধ্বে আমরা এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে গড়তে চাই। এটা দিয়ে বিরাট কিছু হওয়া যাবে তা কিন্তু এর মাধ্যমে আমাদের একে অপরের স্মৃতি ও আবেগের সম্মিলন ঘটানো সম্ভব।
আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কর্মকাণ্ড হয় সেগুলো ঢাবিতে কেন করা সম্ভব হয় না? কারণ এটি একটি সরকার নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় পারে এই কারণে তারা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারের উপরে নির্ভর নয়। অ্যালামানাই অ্যাসোসিয়েশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারফর্ম করতে পারে। সেজন্য দরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব।
তিনি বলেন, আমি শিক্ষক সমিতিতে কতবার জয়ী হয়েছি এটা গুনে শেষ করতে পারবো না। সিনেটে বহুবার সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এখনো আমি সিনেট সদস্য। আমরা কেউ রাজনীতির বাইরে না। আমাকে সবসময় পাশে পাবেন এইটুকু বলতে পারি। আপনারা আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন তা শ্রদ্ধা করছি।
কিউএনবি/ আয়েশা //১০.০৫.২০২৫/রাত ১০.৫০