শান্তা ইসলাম নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পানগাঁও গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে অদুদের ছেলে নয়ন হত্যার মিথ্যা সাক্ষী প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে সংবাদ সন্মেলন করা হয়েছে। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর (রোববার) সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাতটা থেকে ৭ নভেম্বর (সোমবার) ভোর অনুমান ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় নয়ন কে হত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার (৬মে) দুপুরের দিকে নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পানগাঁও গ্রামের মৃত আক্তার উদ্দীন মোড়লের ছেলে সাক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পানগাঁও গ্রামের মোঃ সবুজ মিয়ার ছেলে মোঃ মোজাহিদ (২০), একই গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ আবু রায়হান, লিটন মিয়ার ছেলে আসাদুল হক, হাদিছ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে আরাধন গং আমার গলায় ছুরি ধরে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাকে দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে। তাৎক্ষণিক বাঁচার ভয়ে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আমার স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বেচ্ছামূলক ছিলোনা এবং মিথ্যা বানোয়াট সাক্ষী দিয়েছি।
তিনি জানান, এঘটনায় বিনা অপরাধে কারাগারে রয়েছে গত ২৮ এপ্রিল থেকে মৃত চাঁনফর আলীর ছেলে নূরুল হক ও জজ মিয়া, আক্তর আক্তার উদ্দীন মোড়লের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, কাঞ্চন মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া। এছাড়াও বিনা অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে ছিলো মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ, মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে সামছুল হক।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও ভিকটিম নয়ন মিয়ার পরিবারের দাবী ঘটনার সাথে জড়িত মোজাহিদ, আবু রায়হান, আসাদুল হক, শফিকুল ইসলাম ওরফে আরাধন। ঘটনার পরপরই আসাদুল দেশের বাহিরে চলে গেছে। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম নয়ন মিয়ার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে অদুদ সহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ মে ২০২৫, /রাত ৯:২১