প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উভয় পক্ষ থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হতে পারে। এতে সীমান্তবর্তী স্থানীয় কৃষকদের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক শান্তির দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তিসঙ্গত এমন সব কথা যারা বলেছেন তার মধ্যে অন্যতম ভারতীয় সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রবীণ সাহনি। যুদ্ধ হতে পারে না- এ বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে প্রধান হলো চীন।
সাহনি বলেন, ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা বিতর্কিতভাবে পরিবর্তন পাকিস্তানের চেয়ে চীনকে বেশি বিরক্ত করেছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে গালওয়ান সহিংসতা ছিল এরই একটি অংশ। চীন সীমান্তে অনেক বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে- উল্লেখ করে সাহনি বলেন, ভারতের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে যুদ্ধের ঢাক খুব শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন একজন ভারতীয় নেতা, যিনি যুদ্ধের ভান করায় বিশ্বাস করেন। কারণ এটি তার রাজনীতির সাথে খাপ খায়।
ডন আরও লিখেছে, নিউজ পোর্টালগুলো উল্লেখ করেছে, মোদী বৃহস্পতিবার বিহারে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বিরোধী দলগুলোর সাথে বৈঠকে যোগ দেননি- যেখানে সরকার প্রথমবারের মতো গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছে। সূত্র: ডন নিউজ