ডেস্ক নিউজ : সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার তথ্য অনুযায়ী, কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের একটি বিশেষজ্ঞ দল গিলাফ তোলার কাজটি পরিচালনা করেন। প্রতিবছর হজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই রীতি অনুসরণ করা হয়। মূলত গিলাফের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং হাজিদের জন্য কাবার পাথরের দেয়াল দেখার সুযোগ করে দিতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
হজের মৌসুম শুরু হলে মসজিদুল হারামে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে কাবার গিলাফের নিচের অংশ ওপরে তোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। ওই অংশে একটি সাদা কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ইসলামের প্রারম্ভিক যুগ থেকেই হজের সময় গিলাফ সুরক্ষায় এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
এর পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক কারণ। অতীতে অনেক হাজি গিলাফকে পবিত্র ও অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করে তার অংশ সংগ্রহের চেষ্টা করতেন। কেউ কেউ গিলাফে নিজের নাম লিখে রাখতেও পছন্দ করতেন। এসব কর্মকাণ্ড ঠেকাতেই গিলাফের নিচের অংশ তুলে রাখা হয় এবং সেখানে সাদা কাপড় দিয়ে কাবাঘর আচ্ছাদিত করা হয়।
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে হজের আগমনের বার্তা হাজিদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। সাদা কাপড়টি কাবার দেয়ালে হজের পূর্বপ্রস্তুতির একটি দৃশ্যমান চিহ্ন হয়ে ওঠে, যা ৯ জিলহজ পর্যন্ত রাখা হয়। এরপর হজের দিন নতুন গিলাফ স্থাপন করা হয়। প্রতিবছর ১৫ জিলকদ, কিংবা একদিন আগে বা পরে এই গিলাফ তোলার কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই সময় থেকেই হাজিদের আগমন ও তাওয়াফের ভিড় বেড়ে যায়, ফলে পরে আর গিলাফ তোলা সম্ভব হয় না। সূত্র: গালফ নিউজ, আল-আরাবিয়া, আরব নিউজ
কিউএনবি/আয়শা/১৬ এপ্রিল ২০২৫,/বিকাল ৩:৫০