বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

নেশার বলি দুই বোন ও চার বছরের শিশু, পাঁচ দিনের রিমান্ডে স্বামী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬২ Time View
ডেস্ক নিউজ : ‘নেশা সব শেষ করে দিলো। নেশার কারণেই আমার দুই বোনকে হারাতে হলো। চার বছরের শিশুটিও নেশাখোরের হাত থেকে রেহাই পেলো না। আমার ছোট বোন সুখী হওয়ার আশায় বাবা-মায়ের অমতে গিয়ে বিয়ে করেছিল। কিন্তু তার কপালে সুখ আর হইলো না। সুখের আশা করতে গিয়ে নেশাখোরের হাতে মরতে হলো। আমার বোনের আর কেউ রইলো না।’এভাবেই আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা মুনমুন আক্তার। গত ১১ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় বাসার সামনের রাস্তার পাশে ময়লার স্তুপ খুঁড়ে মুনমুনের বোন লামিয়া আক্তার (২২), তার ৪ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও বড় বোন স্বপ্না আক্তারের (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় লামিয়া আক্তারের স্বামী মো. ইয়াসিন (২৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. দুলালের ছেলে এবং পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক।

লামিয়ার মেঝো বোন মুনমুন আক্তার বলেন, আমার বোন লামিয়া ৫ বছর পূর্বে প্রেম করে ইয়াসিনকে বিয়ে করে। শুরু থেকেই সে কোনো কাজ কর্ম করতো না। সে সব রকমের নেশা করতো। লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। প্রায় সময় টাকার জন্য তার বোনকে মারধর করতো এবং হত্যার হুমকি দিতো। ঈদের সময় লামিয়ার চাকরিও চলে যায়। গত ৭ এপ্রিল তার বোনদের সাথে কথা হয়েছিল। এরপর থেকেই তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

মুনমুনের অভিযোগ, ইয়াসিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার দুই বোন ও ভাগ্নেকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই সাথে লাশ গুম করার জন্য রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তুপে লুকিয়ে রাখে।

এদিকে এই হত্যার ঘটনায় শনিবার বিকালে মো. ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এদিন ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, তিনটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মো. ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন বলেন, এই মামলায় বাকি দুই আসামি ইয়াসিনের বাবা দুলাল ও তার বোন শিমুকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে। গ্রেফতার ইয়াসিন একেক সময় একেক কথা বলছে। তার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে এখনও সে নেশার ঘোরের মধ্যেই রয়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/১২ এপ্রিল ২০২৫,/রাত ৯:৫০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit