রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

মন্দ স্বভাব বর্জনের উপায়

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৩১ Time View

ডেস্ক নিউজ : পৃথিবীতে মানুষ যেসব কাজ করে তার সবই লিপিবদ্ধ করা হয়। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়োজিত মুনকার-নাকির নামক দুজন ফেরেশতা এই দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা প্রকাশ করো অথবা গোপন রাখো, আল্লাহ তার হিসাব তোমাদের থেকে গ্রহণ করবেন’ (সুরা বাকারা : ২৮৪)। শুধু তাই নয়, কেয়ামত দিবসে বড় থেকে ছোট কোনো কর্মই বাদ যাবে না। সব প্রকাশ পাবে। কর্মের প্রতিফল অনুযায়ী জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘কেউ অণু পরিমাণ সৎ কাজ করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎ কাজ করলে তাও দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল : ৭-৮)

তাই বেশি বেশি ভালো কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে আমরা যেন জান্নাতে যেতে পারি, সেজন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। এমনকি গুনাহ তথা পাপকাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.) কতিপয় দোয়া সাহাবিদের শিখিয়েছেন। যে দোয়া পাঠের মাধ্যমে পাপকাজ থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহর তওফিক কামনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে বান্দা সত্যের ওপর থাকলে হয়তো আল্লাহ তায়ালা তাকে হেদায়েত দেবেন।
বিভিন্ন প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থে এ সংক্রান্ত একাধিক দোয়া বর্ণিত হয়েছে। যেমন সুনানে তিরমিজি গ্রন্থের ৩৫৯১ নং হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউয়ুজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক, ওয়াল আমাল, ওয়াল আহওয়া, অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম ও কুপ্রবৃত্তি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।’ অনুরূপভাবে রিয়াদুস সালেহিন ও মিশকাতুল মাসাবিহ গ্রন্থেও আলোচ্য হাদিস উল্লেখিত হয়েছে। তবে প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) রচিত বুলুগুল মারাম গ্রন্থে আলোচ্য হাদিসটি ভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহুম্মা জান্নিবনি মুনকারাতাল আখলাক, ওয়াল আমাল, ওয়াল আহওয়া, ওয়াল আদওয়া, অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ইসলাম গর্হিত স্বভাব ও মন্দ কাজ হতে, মন্দ কামনা হতে এবং ব্যাধি হতে দূরে রাখুন।’ (হাদিস : ১৪৯৭)
আলোচ্য হাদিসগুলোর আলোকে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বপ্রকার মন্দ কর্ম থেকে মুসলিম উম্মাহকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মন্দ কর্ম হালালকে পরিত্যাগ করে, হারাম গ্রহণ করে। তাই একজন মুসলিম হিসেবে ব্যক্তিজীবনে মন্দ স্বভাব ও কর্ম থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে আমলনামায় নেকির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং কেয়ামত দিবসে হিসাব সহজ হবে। পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে এ সংক্রান্ত ভিন্ন আরও একটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে।
যেমন শাকাল ইবনে হুমাইদ (রা.) একদা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, আমাকে আশ্রয় প্রার্থনার দোয়া শিখিয়ে দিন। তখন নবীজি (সা.)-এ দোয়াটি তাকে শিখিয়ে দেন ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউয়ুজুবিকা মিন শাররি সাময়ি, ওয়া মিন শাররি বাসারি, ওয়া মিন শাররি লিসানি, ওয়া মিন শাররি কালবি, ওয়া মিন শাররি মনিইয়ি, অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অশ্লীল শ্রবণ, চোখের কুদৃষ্টি, জিহ্বার খারাপ বাক্য, অন্তরের কপটতা এবং কামনার অনিষ্টতা হতে আশ্রয় চাই।’ (আবু দাউদ : ১৫৫১)

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৮ এপ্রিল ২০২৫,/রাত ১০:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit