 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে মানবিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় বৈধভাবে অবস্থান করা বিপুলসংখ্যক ইউক্রেনীয়কে সাত দিনের মধ্যে দেশটি ছাড়তে বলা হয়েছে। অন্যথায়, মার্কিন ‘ফেডারেল সরকার তাদের খুঁজে বের করবে।’ গত সপ্তাহে এই নির্দেশনা সংবলিত একটি ই-মেইল পেয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে আশ্রয় নেওয়া অনেক ইউক্রেনীয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে বৈধভাবে অবস্থানরত ইউক্রেনীয়রা একটি ই-মেইল পান যাতে বলা হয়, তাদের ‘স্ট্যাটাস’ বাতিল করা হয়েছে এবং সাত দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে, অন্যথায় ‘ফেডারেল সরকার তাদের খুঁজে বের করবে।’
গতকাল শুক্রবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ই-মেইলটি ভুল করে পাঠানো হয়েছিল এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর চালু হওয়া ‘ইউক্রেনিয়ান প্যারোল প্রোগ্রাম’ বাতিল করা হয়নি। কতজন ইউক্রেনীয় এই ই-মেইল পেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
রয়টার্স গত মাসে জানিয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয়র অস্থায়ী আইনি মর্যাদা বাতিলের পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের নীতির বিপরীত।
গত বৃহস্পতিবার পাঠানো ই-মেইলটিতে লেখা ছিল, ‘যদি আপনি অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ না করেন, তবে আপনি সম্ভাব্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপের শিকার হবেন, যার ফলে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে। পুনরায় বলছি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনার প্যারোল বাতিল করছে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার চেষ্টা করবেন না।’
এই ই-মেইলের পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর শুক্রবার একটি ফলো-আপ ই-মেইল পাঠায়, যাতে জানানো হয় আদেশটি ভুল ছিল এবং ‘আপনার প্যারোলের শর্তাবলি অপরিবর্তিত রয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় নারী বলেন, ই-মেইলটি পাওয়ার পর তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন না এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁদছিলেন। তিনি জানান, গত আগস্টে তিনি তাঁর অভিবাসন ‘স্ট্যাটাস’ নবায়ন করেছিলেন এবং তাঁকে বলা হয়েছিল, এটি আরও দুই বছরের জন্য বৈধ।
মেইল পাওয়ার পর ওই নারী যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁকে বের করে দেওয়ার সম্ভাব্য কারণ খুঁজছিলেন। তিনি জানান, ‘আমার একটি পার্কিং টিকিটও নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করি না।’
আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ইউক্রেনীয় আশ্রয়প্রার্থীদের সহায়তাকারী এনজিও ‘আইএ নাইস’-এর সভাপতি অ্যাঞ্জেলা বোয়েলেন্স বলেন, তিনি অন্তত দু’জন মহিলাকে চেনেন যারা এই ই-মেইল পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন গর্ভবতী। বোয়েলেন্স বলেন, ‘এটি খুবই ভীতিকর ই-মেইল। আমার পুরো পরিবার সম্পূর্ণ আতঙ্কিত।’
সূত্র: রয়টার্স
কিউএনবি/অনিমা/০৬ এপ্রিল ২০২৫,/বিকাল ৫:১০