মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

কোরআন নাজিলের মাস মাহে রমজান

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৬০ Time View

ডেস্ক নিউজ : রমজান মাস আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি অপার অনুগ্রহ। মানুষ যেন তাওবার মাধ্যমে পাপ মোচন করতে পারে, অল্প ইবাদতে বেশি নেকি লাভ করতে পারে, এ জন্য আল্লাহ তাআলা পবিত্র রমজান মাস দিয়েছেন। এ মাসে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, এটিও রমজানের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘রমজান মাস, যে মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য (আদ্যোপান্ত) হিদায়াত এবং এমন সুস্পষ্ট নির্দেশনাবলি সম্পন্ন, যা সঠিক পথ দেখায় এবং (সত্য-মিথ্যার মধ্যে) চূড়ান্ত ফয়সালা করে দেয়।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৫)
কোরআন অবতীর্ণ করার মাধ্যমে রমজানকে মর্যাদাপূর্ণ করা হয়েছে। কোরআন অবতরণের মাস, তাই কোরআনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক তৈরির মাস।

রমজান মাসে রোজা পালন করা ফরজ আর এ মাসেই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং রমজানের সঙ্গে রোজা এবং কোরআনের যেমন একটা সম্পর্ক আছে, ঠিক তেমনি কোরআন ও রোজার মধ্যেও একটা পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে।

তাহলো আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দার জন্য সুপারিশ। হাদিস থেকে জানা যায়, রোজা ও কোরআনে উভয়েই কিয়ামত দিবসে বান্দার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আল্লাহ! আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করো।

কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছিলাম (অর্থাত্ সে রাত জেগে কোরআন তিলাওয়াত করত)। তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করো। অতঃপর আল্লাহ তাআলা উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করবেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৬২৬)
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের নেকি ও প্রতিদান অনেক বেশি। নফল ইবাদতের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াতই হলো সর্বোত্তম।

আর তা যদি হয় পবিত্র রমজান মাসে, তাহলে তো এর নেকি কমপক্ষে ৭০ গুণ বৃদ্ধি পায়। কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব (কোরআন) তিলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে, আমার দেওয়া জীবিকা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার, যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’
(সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৯-৩০)

এই কোরআন কিয়ামত দিবসে তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো। কেননা কোরআন কিয়ামত দিবসে তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮০৪)

অন্য হাদিসে কোরআন শিক্ষাদানকারী ও শিক্ষাগ্রহণকারীকে সর্বোত্তম মানুষ বলা হয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০২৭)

যারা ভালোভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে না, বরং আটকে আটকে কষ্ট করে তিলাওয়াত করে, তাদেরও প্রতিদান রয়েছে আল্লাহর কাছে। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল-কোরআনে দক্ষ ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের সম্মানিত ও পুণ্যবান ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবেন। যে ব্যক্তি কোরআন আটকে আটকে তিলাওয়াত করে এবং তা তার জন্য কষ্টকর হয়, তার জন্য দুটি প্রতিদান রয়েছে।’

(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৯৩৭)

দুটি প্রতিদানের প্রথমটি হলো তিলাওয়াতের, দ্বিতীয়টি তার কষ্টের। আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাসে আমাদের বেশি পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করার তাওফিক দিন।

কিউএনবি/অনিমা/০৮ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৪:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit