সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পি কে হালদার

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ আড়াই বছর পর কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে প্রধান অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ওরফে শিব শঙ্কর হালদার।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান।

এদিন কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় পি কে হালদার জানান, “আমি এখন কিছু বলব না। পরে বলব।”

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে কার্যত হাত জোর করে তিনি বলেন, “আমি আইনজীবীর সাথে কথা বলে পরে সব কিছু জানাব।”

এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা গাড়িতে করে ওই স্থান পরিত্যাগ করেন পি কি হালদার। তবে কোথায় যাচ্ছেন তা সাংবাদিকদের জানান তিনি।

গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। সেক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেন আদালত। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা দেওয়া হয়। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ছাড়া পান।

তবে পি কে হালদারের সাথেই ওই দিন জামিন পান তার অন্য দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিকে হালদারের সাথে কারাগার থেকে মুক্তি পান উত্তম মৈত্র। তবে নথি ও বন্ড সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মৈত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি।

জামিনের শর্তানুযায়ী পরবর্তী প্রতিটি শুনানিতে অভিযুক্তদের হাজিরা দিতে হবে। জামিন থাকাকালীন অবস্থায় কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া যাবে না। এই মামলার প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করা যাবে না। কোনওরকম হুমকি, প্রলোভন দেখানো যাবে না। আদালতের কাছে ফোন নম্বর, ইমেইল, বাসস্থানের প্রমাণপত্র জমা রাখতে হবে। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এমনকি আদালতের অনুমতি ছাড়া এবং মামলা নিষ্পত্তি না হাওয়া পর্যন্ত ভারতের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।

ইতোমধ্যেই এই মামলায় বাকি তিন অভিযুক্ত পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং শর্মী হালদার ওরফে আমানা সুলতানাকে আগেই জামিন দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। গত ৫ অক্টোবর এই তিনজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি, অশোকনগর, কালনাসহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই ছয়জনকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর কর্মকর্তারা।

পরবর্তীতে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘অর্থপাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ (PMLA)’ মামলার দায়ের করা হয়।

কিউএনবি/অনিমা/২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,/রাত ৮:৩০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit