আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। এক বিবৃতিতে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ সময় আবারও লেবানন সরকার, সেখানকার জনগণ এবং তাদের প্রতিরোধের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানায় ইরান।
তিনি এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এবং ইসরাইলকে গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করতে চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বের উপর জোর দেন। যেখানে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজা যুদ্ধে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ও ফরাসি কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় কার্যকর হয়। হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর ফিলিস্তিনের এই প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও গাজার মানুষের প্রতি একাত্মতা প্রদর্শন করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সীমান্তে গোলাগুলিতে জড়ায় হিজবুল্লাহ। যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলকে চাপ প্রয়োগ করতে প্রায় প্রতিদিনই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
সীমান্তে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। অক্টোবরে স্থল আক্রমণ শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলো।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
কিউএনবি/আয়শা/২৭ নভেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৫৪