রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

নিষিদ্ধ নয়, ছাত্র রাজনীতির সংস্কার চান ছাত্রনেতারা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : দেশে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ না করে যৌক্তিক সংস্কারের পক্ষে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা ও শিক্ষাবিদরা। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান বক্তারা বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি মানে এতদিন ছিল ফাও খাওয়া, দখলদারত্ব, দলদাস তৈরির মাধ্যম। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছাত্র রাজনীতি হতে হবে শিক্ষার্থীবান্ধব, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মাধ্যম। এর জন্য ডাকসুর বিকল্প নেই।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

সভায় নুরুল হক নুর বলেন, গত ৫৩ বছরের রাজনীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, ছাত্র অধিকার পরিষদ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগী সংগঠন। আমাদের এমন কোনো নেতা নেই, যাদের গায়ে ছাত্রলীগের নির্যাতনের চিহ্ন নেই। গত বছর এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ওপর হামলা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য প্রক্টর ছিলেন গোলাম রব্বানী। তার ইঙ্গিতে ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রদের পেটাতো। তিনি চেয়ে চেয়ে দেখতেন।

অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, আমি সূর্যসেন হলের ছাত্র ছিলাম। আমি দেখেছি, কীভাবে কনকনে শীতের রাতে ছাত্রদের হল থেকে বের করে দিতো। ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম না করার কারণে সারারাত পাশবিক নির্যাতন করতো। ছাত্র রাজনীতির নামে যেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রাম করতে না হয়, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। রাজনীতি যেন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করে। শিক্ষার্থীদের যেন সিটের জন্য কোনো নেতার দ্বারস্থ না হতে হয়, সেটা হল প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।

অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, ছাত্র রাজনীতি চাই কিনা আমি সে প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলতে চাই, ছাত্র রাজনীতি দরকার আছে। যদি ছাত্র রাজনীতি না থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা বিগত সরকারের ১৬ বছরের বর্বরতা সম্পর্কে জানতে পারবে না। ছাত্ররাজনীতি যেন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অনুকূলে থাকে, তারা যেন প্রথম বর্ষেই হলে সিট পায়, তাদের যেন আবাসন নিয়ে চিন্তা করতে না হয়, আমরা এমন ছাত্র রাজনীতি চাই।

জুবায়ের হাসান বলেন, কেমন ছাত্র রাজনীতি চাই, এর উত্তরে আমি বলব, রাজনীতি হবে ছাত্রদের জন্য। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করবে এমন রাজনীতিই শিক্ষার্থীরা চায়। কিন্তু তাদের বিগত সময়ের কালো রাজনীতির ছায়া তাদের ব্রেনওয়াশ করেছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করতে হবে।

ইয়াসিন আরাফাত বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহাবস্থান তৈরি করতে হবে। সবাই যেন সব দলের বিরুদ্ধে আলোচনা করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মোজাম্মেল হক মোজাম্মেল হক বলেন, ৫ আগস্টের আগে ছিল অপরাজনীতি। রাজনীতির নামে ফাও খাওয়া, হল দখল, শিক্ষার্থী নির্যাতন করেছে ফ্যাসিবাদী সংগঠনের দোসর ছাত্রলীগ। আমরা আগামীতে এ ধরনের বর্বরতা দেখতে চাই না। শিক্ষার্থীরা যেন প্রথম বর্ষেই হলে সিট পায়, সেটি আমাদের দেখতে হবে।

সভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কিউএনবি/অনিমা/২৮ অক্টোবর ২০২৪,/সকাল ৯:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit