রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ডোমারে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহে এতিমখানা শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ জিয়া উদ্যানের লেকে ‘শাপলা ফুল’ রোপণ করল ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ফুলবাড়ী ব্র্যাক অফিসে কৃষকদের মাঝে ব্র্যাক হাইব্রীড আমন ধানের বীজ বিতরণ॥ আওয়ামিলীগের চেহারা দেখলে ভোট কমে যাবে-সাবেক এমপি ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবি চোরাচালন অভিযান চালিয়ে মাদক আটক॥ ‘সালমান খানের সঙ্গে প্রেম করা কঠিন’ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের শর্ত, যা বললেন ট্রাম্পের দূত তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি সোমবার সারাদিন গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় রাশিয়াকে কোনোভাবেই পরাজিত করা সম্ভব না: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজানের পর যে দোয়া পাঠে নবীজির সুপারিশ পাবেন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : আজান মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ফরজ বিধান নামাজ আদায়ের জন্য এটি দেয়া হয়। যিনি আজান দেন তাকেই মুয়াজ্জিন বলা হয়। নামাজের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, ঠিক তেমনি আজানেরও গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।

আজানের পর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। দোয়া পাঠের অনেক ফজিলতও তিনি বর্ণনা করেছেন। দোয়াটি হচ্ছে-

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কইমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।)

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব। মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (জান্নাতে প্রবেশের) এর মাধ্যমে (সবার মধ্যে বিশেষ) সম্মান দান করুন। তাকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।

আজানের দোয়া পাঠের ফজিলত

আজানের দোয়া পাঠের অনেক ফজিলত রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শুনে উল্লিখিত দোয়া পড়বে কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার সুপারিশ থাকবে।’ (বুখারি: ৬১৪)

অপর হাদিসে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে আজানের দোয়ার জবাব দেবে কেয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশ পাওয়ার অধিকারী হবে।’ (মিশকাত) হজরত সাদ ইবনু আবি ওয়াক্কাছ (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে এ দোয়া পড়বে –

أَشْهَدُ أَنَّ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رضيت بالله ربًا وبمحمد ﷺ رسولًا وبالإسلام دينًا (উচ্চারণ: ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু। রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়া বিমুহাম্মাদির রাসুলাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনা।’)

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। আর মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল। আমি আল্লাহকে প্রভু হিসাবে, মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসুল হিসেবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে খুশি হয়েছি। যে এ দোয়া পড়বে, তার গুনাহসমূহ মাফ করা হবে। (মুসলিম ও মিশকাত)

আজান ও ইকামত 

প্রথমে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (চারবার), অতঃপর আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (দুবার), তারপর আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রসুল’ (দুবার), তারপর হাইয়া আলাস সালাহ, ‘নামাজের জন্য আসো’ (দুবার) ও হাইয়া আলাল ফালাহ, ‘কল্যাণের জন্য আসো’ (দুবার); পরিশেষে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (দুবার) ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (একবার)।

ফজরের নামাজের আজানে পঞ্চম বাক্যের (হাইয়া আলাল ফালাহ) পর বলতে হয়, আস সালাতু খায়রুম মিনান নাওম, ‘ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ (দুবার) আর ইকামতে এই স্থানে বলতে হয় ‘কদ কমাতিস সালাহ’, ‘জামাত প্রস্তুত’ (দুবার)।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ৯:০৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit