রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

জেলে বসে যেভাবে ৭০০ শুটার আর কুখ্যাত গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন লরেন্স বিষ্ণোই

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬১ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাধারণ পরিবার থেকে আসা সত্ত্বেও, লরেন্স বিষ্ণোই-এর উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাকে অন্ধকার পথে নিয়ে যায়। তিনি যখন চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন, তখনই তিনি সংগঠিত অপরাধের জগতে প্রথম পদার্পণ করেন। ২০২২ সালে পাঞ্জাবের মানসা জেলায় জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনায় আসেন। কয়েক বছর পর, কুখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নেতা আবারও জনসাধারণের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কারণ গ্যাং-এর সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা মুম্বাইয়ের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা বাবা সিদ্দিকের হত্যার সঙ্গে জড়িত।

জানা যায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি এবং হিমাচলপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং দেশের বাইরেও ছড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। খুন-রাহাজানি-সহ একগুচ্ছ গুরুতর ঘটনায় পরপর উঠে এসেছে তার নাম। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, এই দলের প্রধান টার্গেট উচ্চবিত্ত, ধনবান তারকা, ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, লরেন্স বিষ্ণোই ১৯৯৩ সালে পাঞ্জাবের আবোহারের কাছে ধাতারানওয়ালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন হরিয়ানা পুলিশ কনস্টেবল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়কাল থেকেই অপরাধের সঙ্গে তার যোগাযোগ বলে জানা যায়। প্রশ্ন ওঠে, জেলে থেকেও কীভাবে এই বিশাল গ্যাং চালায় সে? জানা যায়, সবরমতী হোক বা তিহার, সে সবসময় ফোন ব্যবহার করে থাকে।

গ্যাং-এর বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বেশকিছু অ্যাপ ব্যবহার করে বলেও জানা গিয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, বিষ্ণোইয়ের দলের অন্তত ৭০০ বন্দুকবাজ ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। বছরের পর বছর, যেমন বহরে বেড়েছে এই গ্যাং, তেমনই বেড়েছে তাদের কার্যকলাপ। এমনকি কারাগারের আড়ালে থেকেও, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কার্যক্রমের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে বলে মনে করা হয়। জেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করেছে যে লরেন্স বিষ্ণোই, ভারতের সর্বাধিক-নিরাপত্তা সুবিধার মধ্যে বন্দী অন্যান্য গ্যাং নেতাদের মতো, কারাগারের মধ্যে থেকে তার অপরাধী সাম্রাজ্য চালায়।
লরেন্স বিষ্ণোই যেভাবে গ্যাং চালান
গুজরাটের সাবরমতী জেল বা দিল্লির তিহার জেল, যে কোন জায়গায় লরেন্স বিষ্ণোই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করেন। বছরের পর বছর এই গ্যাংস্টারকে এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তাকে একাকী অবস্থায় রাখা হয়। এই বছরের শুরুতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইকে পাকিস্তানের গ্যাংস্টার শাহজাদ ভাট্টির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল।

মোবাইল ফোনগুলো সাধারণত অন্যান্য বন্দীদের মালিকানাধীন হয় এবং এগুলো উচ্চ-মানের ভিপিএন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে যাতে যোগাযোগের সময় আইপি ঠিকানা এবং অবস্থান গোপন করা যায়। লরেন্স বিষ্ণোই ভারতে এবং বিদেশে তার সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করতে সিগন্যাল এবং টেলিগ্রামের মতো অ্যাপস ব্যবহার করেন। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শাখা বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায়। লরেন্স বিষ্ণোই প্রায়ই তার ভাই আনমোল এবং সহযোগী গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গোদারার সাথে যোগাযোগ করেন। এই গ্যাংয়ের খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের এবং উত্তর আমেরিকায় ভিত্তি স্থাপনকারী খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

সূত্র : আজকাল ও টিভি নাইন।

কিউএনবি/অনিমা/১৬ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১১:০৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit