রাজশাহীতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সোমবার (১৬ অক্টোবর) অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জনে’র সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকার অসীম কুমার, জেলা প্রশাসক ভারপ্রাপ্ত রাজশাহী।
সভায় তিনি বলেন, আজকের কিশোরী আগামীর মা। তাদের সু-স্বাস্থোর ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। ২৪ অক্টোবর থেকে ১৮ কর্ম দিবস চলবে এই কার্যক্রম প্রথম ১০ কর্ম দিবস স্কুল পর্যায়ে এবং পরবর্তী ৮ কর্ম দিবস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক এ দেয়া হবে টিকা।
সভার সভাপতি, ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, সারাদেশে জরাযুমুখ ক্যানাসর প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করছে। টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে।
এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে। সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী, ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ কার্যক্রমকে বাস্তবায়িত করতে সবাইকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। উল্লেখ, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি, পাথ এর সহযোগিতায় রাজশাহী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন।