ডেস্ক নিউজ : আল্লাহ তাআলার ঘর হিসেবে বিবেচিত হয় মসজিদ। যেখানে ইবাদত ও জিকির করা মূল উদ্দেশ্য। তাই এসবের ব্যাঘাত ঘটে এমন কাজ করা অনুচিত। রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘এসব মসজিদ বানানো হয়েছে আল্লাহর স্মরণ ও আলোচনা, নামাজ ও কোরআন পাঠের জন্য। (মুসলিম ২৮৫)
যখন লোকেরা যুদ্ধলব্ধ গনিমতের সম্পদকে নিজের সম্পত্তি মনে করবে, আমানতকে নিজের সম্পত্তি গণ্য করবে, জাকাতকে জরিমানা মনে করবে… মসজিদে উচ্চ স্বর ও চেঁচামেচি বেড়ে যাবে, পাপাচারী লোক সমাজের সর্দার হবে, সর্বাপেক্ষা নীচ প্রকৃতির লোক সমাজের কার্যভারপ্রাপ্ত হবে, জালিমকে তার জুলুমের ভয়ে লোকজন সম্মান করবে, নর্তকী ও বাদ্যযন্ত্র বিস্তার লাভ করবে, মদ প্রচুর পরিমাণে পান করা হবে, পরবর্তী লোকজন পূর্বপুরুষকে মন্দ বলবে, তখন তোমরা এরূপ বিপদের অপেক্ষা করতে থাকবে যে লাল বর্ণের প্রচণ্ড বায়ু অথবা ভূমিকম্প, জমিন ধসে যাওয়া, লোকের রূপান্তর হওয়া ও পাথর বর্ষণ হওয়া ইত্যাদি পরিলক্ষিত হবে। আরও অনেক আপদ-বিপদ ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকবে, যেমন মুক্তার মালা ছিঁড়ে গেলে দানাসমূহ খসে পড়তে থাকে। (তিরমিজি ২২১০, ২২১১)
– পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে যাওয়া সুন্নত।
– ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করা এবং ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখাও সুন্নত।
– মোবাইল ফোন বা অন্য যেকোনো ডিভাইসের রিংটোন বন্ধ রাখা উচিত। নামাজে রিংটোন বেজে উঠলে এক হাতে যত দ্রুত সম্ভব তা বন্ধ করতে হবে।
– মসজিদে উঁচু স্বরে কথা বলা যাবে না। হট্টগোল করা তো একেবারেই নিষিদ্ধ। এমনকি উঁচু স্বরে কোরআন তিলাওয়াত করতেও নিষেধ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় কথা মার্জিত স্বরে অন্য মুসল্লিদের অসুবিধা না করে বলা যাবে।
– মসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাত তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা সুন্নত।
– জামাতে নামাজ আদায়ের সময় কাতার সোজা রাখা এবং কাতারের মাঝখানে ফাঁক না রাখা উচিত।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ৮:৪৪