১. স্ট্রেইটনার প্রস্তুত করুন: প্রথমে হেয়ার স্ট্রেইটনারটি গরম হতে দিন এবং তাপমাত্রা আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী ঠিক করুন।
২. চুল শুকিয়ে নিন: চুল সম্পূর্ণ শুকনো না হলে স্ট্রেইটনার ব্যবহার করবেন না। ভেজা চুলে তাপ দিলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩. হিট প্রটেক্ট্যান্ট ব্যবহার করুন: তাপের কারণে চুলের ক্ষতি কমানোর জন্য, হিট প্রটেক্ট্যান্ট স্প্রে বা সিরাম ব্যবহার করুন।
৪. চুল ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন: চুল ছোট ছোট অংশে ভাগ করে স্ট্রেইটনার দিয়ে আস্তে আস্তে স্ট্রেইট করুন। প্রতিটি অংশে ২-৩ সেকেন্ডের বেশি তাপ ব্যবহার করবেন না।
ব্লো ড্রাইং (ব্লো-ড্রাই)-
১. হিট প্রটেক্ট্যান্ট ব্যবহার করুন: চুল শুকানোর আগে হিট প্রটেক্ট্যান্ট ব্যবহার করুন।
২. ব্রাশের সাহায্যে চুল টেনে ধরুন: একটি গোল ব্রাশ ব্যবহার করে চুলের রুট থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত টেনে ধরুন।
৩. ব্লো-ড্রাই মেশিন ব্যবহার করুন: নিচের দিক থেকে গরম হাওয়া দিয়ে চুল শুকাতে থাকুন, এবং একই সাথে ব্রাশের সাহায্যে চুল স্ট্রেইট করুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে (হিট ছাড়া)-
১. ব্যান্ডিং পদ্ধতি: চুলকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশ ব্যান্ড দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে এটি করলে সকালে চুল কিছুটা সোজা দেখাবে।
২. কোল্ড ব্লো ড্রাই: কোল্ড সেটিং এ ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করুন। গরম না দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস দিয়ে চুল শুকানোর সময় একটি চিরুনি দিয়ে স্ট্রেইট করে নিন।
৩.স্ট্রেইটনিং মাস্ক বা প্যাক ব্যবহার:
মধু এবং দুধ: ১ কাপ দুধ এবং ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন এবং এটি ৩০-৪০ মিনিটের জন্য চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিম এবং অলিভ অয়েল: ২টি ডিম এবং ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। এটি চুলকে স্ট্রেইট এবং মসৃণ করে তুলবে।
এই পদ্ধতিগুলো চুলের ধরন অনুযায়ী স্ট্রেইট করতে কার্যকর হতে পারে। তবে, নিয়মিত তাপ প্রয়োগ না করে প্রাকৃতিক বা কম ক্ষতিকর পদ্ধতি বেছে নেয়া উত্তম।