স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান সফরে দুই টেস্টে তার গতিময় বোলিং দেখে চমকে গেছে সেখানকার ক্রিকেট মহল। যে রাওয়ালপিন্ডিতে তিনি গতির ঝড় তুলেছেন, সেই রাওয়াপিন্ডি থেকেই উঠে এসেছেন বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় বোলার শোয়েব আখতার।
নাহিদের গতি দেখে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে শোয়েব আখতারের সাথেও তুলনা করা হয়েছে তাকে। তবে তার মতো হতে চান না নাহিদ রানা নিজেই। বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে নাহিদ রানা বলেছেন, ‘আমি কারও মতো হতে চাই না। আমি নাহিদ রানা, নাহিদ রানাই হতে চাই বাংলাদেশের।’
সাধারণত গতিময় ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কাউকে না কাউকে আদর্শ মেনে বা অনুসরণ করে নিজেকে গড়ার চেষ্টা করেন তারা। তবে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, সেভাবে কাউকে অনুসরণ করা হয় না আমার। তবে বাংলাদেশের সব পেস বোলারকেই ভালো লাগে আমার। কারণ টিভিতে তাদের খেলা দেখে বড় হয়েছি। সেরকম কেউ একজন নেই। বাংলাদেশ দলের সবাই আমার সিনিয়র। সবার বোলিংই ভালো লাগে আমার।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও বিপিএলে গতির ঝড় তোলার পর গত মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় তার। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন তিনি। তবে বোলিংটা তখনও খুব একটা গোছানো ছিল না। কিন্তু উন্নতির ছাপ রেখেছেন পাকিস্তান সফরে। গতির সাথে তার বলের লেংথ-লাইন ধারাবাহিক ছিল।
পাকিস্তানে প্রথম টেস্টে বাবর আজমের উইকেট নেন তিনি। পরের টেস্টে বাড়তি বাউন্সে আউট করেন রিজওয়ানকে। দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছিলেন নাহিদ। সব মিলিয়ে পাকিস্তান সফরে নিজের পারফরম্যান্সে বেশ খুশি এই বোলার। নাহিদ রানা বলেন, ‘স্বপ্নের মতো নয়, তবে আমি যেটা আশা করেছিলাম, দল যেটা আশা করেছিল আমার কাছে, এই জিনিসটা করতে পেরেছি। দেশ ছাড়ার আগে আমি বলেছিলাম যে, দেশের জন্য কিছু করতে চাই। তো করতে পেরেছি, ভালো লাগছে।’
‘এটা কখনও অনুভব করিনি যে ১৫২তে বল করতে হবে বা এর চেয়েও জোরে করতে হবে। একটা ব্যাপারই মাথায় নিয়ে বোলিং করেছি যে, দল আমাকে যে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেভাবে করছি এবং নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী করেছি।’ পাকিস্তান সফরে ভালো করে দেশে এসে নিজ গ্রাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশাল সংবর্ধনা পেয়েছেন নাহিদ রানা। সেখানে তার কোচ আলমগির কবিরকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়। ‘তারা সবাই অনেক খুশি। আমার বন্ধুমহল, বাসার সবাই, গ্রামের মানুষ, তারা সবাই অনেক খুশি। বলেছেন যে ভালো হচ্ছে, সামনে এগিয়ে যাও।’
পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর খুব একটা বিশ্রাম পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। কদিন পরেই ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবে টাইগাররা। তার জন্য নিজেকে আরও ভালোভাবে শাণিয়ে নিচ্ছেন নাহিদ। ‘প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে। প্রস্তুতি যত ভালো হবে, ওখানে গিয়ে ম্যাচে তত ভালো করা যাবে। ভারত ভালো দল অবশ্যই। তবে ক্রিকেটে দুই মধ্যে যে ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। দলকে সেরাটা দেওয়ার এখনও বাকি আছে। ইনশাল্লাহ দেবো।’
কিউএনবি/আয়শা/১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১১:২১