আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। আর সোমবার যা সত্যি হওয়ায় শেয়ার বাজারে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক! এ দিন মার্কেট খুলতে না খুলতেই হু হু করে পড়তে শুরু করে আদানিদের স্টকের গ্রাফ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে বিনিয়োগকারীদের। দিনের শুরুতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।
এদিন আদানিদের প্রতিটা কোম্পানির স্টকের গ্রাফে দেখা গেছে বড় পতন। ব্রোকারেজ ফার্মগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে আদানি পাওয়ার ও আদানি উইলমারের শেয়ার পড়েছে যথাক্রমে ৯ ও ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ৩.১৭ শতাংশ ও ৭ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ ও আদানি টোটাল গ্যাসের স্টকে।
এছাড়া এ তালিকায় নাম রয়েছে আদানি এনার্জি সলিউশন, আদানি গ্রিন এনার্জি, এসিসি ও অম্বুজা সিমেন্টের। এই ৪টি কোম্পানির শেয়ার পড়েছে যথাক্রমে ৪, ৩.৬১, ১.৮৩ ও ১.৫৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে আদানিদের মোট ১০টি সংস্থার সম্মিলিতভাবে মার্কেট ক্যাপিটাল নেমে এসেছে ১৬.৭ লাখ কোটি রুপিতে।
আদানিদের এ লোকসানের বড় প্রভাব পড়েছে শেয়ার সূচকেও। এ দিন মার্কেট খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২২৯ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। ফলে তা ৭৯,৪৭৬-এ নেমে আসে। অন্যদিকে নিফটি পড়েছে ৯১ পয়েন্ট। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচককে ২৪,২৭৬-তে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
নিফটিতে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থাগুলোর শীর্ষ তালিকায় নাম রয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ ও আদানি পোর্টসের। এই ২ কোম্পানির স্টকের গ্রাফ পড়েছে ২.৬৫ ও ১.৮১ শতাংশ। সকাল ১১টা নাগাদ আদানি এন্টারপ্রাইজের ট্রেডিং প্রাইস দাঁড়ায় ৩,১০২.৯৫ টাকা। অন্যদিকে ১,৫০১ টাকায় আদানি পোর্টসের শেয়ারের চলছে লেনদেন।
চলতি বছরের ১০ আগস্ট আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন শর্টসেলার সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। সেখানে স্টক মার্কেট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের সঙ্গে মিলে এই শিল্প গোষ্ঠী আর্থিক কারচুপি করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এর জেরেই পড়ছে আদানিদের শেয়ারের গ্রাফ, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিউএনবি/অনি/১২ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ৯:৪৫