মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে”–কুড়িগ্রামে পথসভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ কিম বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার মাশরাফি-সাকিবের রেকর্ড ভেঙে রিশাদের ইতিহাস ট্রফি ফিরে পেতে নকভিকে ভারতের চিঠি নোয়াখালীতে বিনা ভোটে বিজয়ী হতে নমিনেশন ফরম ছিঁড়ে প্রার্থীর ভাইকে মারধর পাঁচপুকুরিয়ায় মিঠুন দম্পতির অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ফুলবাড়ীতে গ্রামপুলিশ কর্তৃক শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ফুলবাড়ীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার যোগদান চৌগাছায় কৃষকের আত্মহত্যা ভূরুঙ্গামারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

দ্বিপক্ষীয় আয়োজনে আবারও ‘দিল্লি যাচ্ছেন’ প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪
  • ৭৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ঈদের ঠিক পরপরই এই সফর আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে দুপক্ষ থেকে। আশা করা হচ্ছে, সফরটি তিন দিনের হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল কূটনৈতিক মহলে।

তবে শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে সময় সংবাদকে এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি যাবেন এবং ২২ জুন তার ঢাকায় ফেরার দিনক্ষণ ঠিক রেখে, কার্যসূচি তৈরি করছে পিএমও এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো।
 
সূত্র জানাচ্ছে, ২১ এবং ২২ জুন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সহজাতভাবেই বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের সরকার প্রধানদের ঢাকা-দিল্লি সফরে আলোচ্যসূচিতে থাকে একগুচ্ছ ইস্যু। এবারও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নতুন সরকারের কিছু মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চাইতে পারেন বলে ধারণা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার।

‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতিতে, একই মাসে দুই-দুবার উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের সফরের বিষয়টিকে ঐতিহাসিক এবং নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্রের দাবি, তিনদিনের এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বিভিন্ন দিক থেকে। কেননা গেলো মে মাসে ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন দিল্লি থেকে এসে পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় কোয়াত্রা, দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছেন। আবার চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং শেখ হাসিনার কাছে বেইজিং যাওয়ার আমন্ত্রণ অনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন।
 

এরমধ্যেই মোদির শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে গেল ৮-১০ জুন প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেন। রাষ্ট্রাচারের ফাঁকে একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনা। নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি একে অপরকে সুবিধাজনক সময়ে সফর করার আমন্ত্রণ জানান তারা। যদিও সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দিল্লিতে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবে বাংলাদেশ। তবে তখন দিনক্ষণ জানাতে পারেননি ড. হাছান।

এসব দূতিয়ালি চলার মধ্যেই ১২ জুন ভারতীয় গণমাধ্যমে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে সেই গুঞ্জন স্থায়ী হয়নি একদিনের বেশি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দিল্লিতে যাচ্ছেন মোদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে।

এই সফরে ঠিক কি কি বিষয় আলোচনায় ঠাঁই পেতে যাচ্ছে, সেটি এখনও চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দুই প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে বৈঠকে বসলে স্বাভাবিকভাবেই কিছু অমীমাংসিত ইস্যুর অবতারণা ঘটেছে অতীতে, এবারও হয়তো তার ব্যতিক্রম হবে না। এর পাশাপাশি গেলো এক দশকে মোদি-হাসিনা সরকারের একযোগে কাজ করার ফলে, দুই দেশের সম্পর্ক এখন ‘অনন্য উচ্চতায়’। সেই সুবাদে এবারের বৈঠকেও বহুমাত্রিক বিষয়গুলোই, বিশেষত আগামী দিনের যৌথ পরিকল্পনার ইস্যু আলোচনায় গুরুত্ব পাওয়ার কথা।

 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাগ্রহণের পর বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে বড় পরিবর্তন আসে। কানেক্টিভিটি, ক্রস বর্ডার পাওয়ার ট্রেড, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ঘটলেও তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যুর মতো কিছু অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা এখনো হয়নি।
 
ভারতের অগ্রাধিকার নিরাপত্তা, সময়ের পরীক্ষায় যা নিশ্চিত করে এসেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা- তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে সমতা প্রতিষ্ঠা। এ ছাড়া সীমান্ত হত্যা এবং বাণিজ্যের কিছু কিছু ক্ষেত্রেও জটিলতা নিরসন এখনো বাকি। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আগামীতে সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা থেকে শুরু করে নেপাল এবং ভুটানের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির ক্ষেত্রেও ভারতের চূড়ান্ত সম্মতির ইস্যু এবার প্রাধান্য পেতে পারে হাসিনা-মোদি বৈঠকে।

 

কিউএনবি/আয়শা/১৪ জুন ২০২৪,/দুপুর ১:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit