ডেস্ক নিউজ : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জারি রেখে এর মধ্যে একটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেদের বাইরে রেখেছে তারা। গেলো জাতীয় নির্বাচনের পরপর বিএনপির রাজনীতি ঘিরে ডানা মেলেছে নতুন আলোচনা। লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থেকে দল সামলানো মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জায়গায় আসছে নতুন নেতৃত্ব – এমন আলোচনার বিস্তার ঘটেছে বিএনপি নেতাদের বরাতেই।
যদিও এ নিয়ে দলের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিংবা বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে অনেক গণমাধ্যম এ বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে। এক্ষেত্রে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন নেতার নাম যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে এক সময় বিএনপি করতেন এখন অন্য দলের রাজনীতি করেন এমন নেতাদেরও। আলেচনা নতুন করে সামনে এসেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। একাধিক গণমাধ্যম বলছে, টকশোতে আলাল মন্তব্য করেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কি-না, সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে।’তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে, যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এ রকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে — চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। নির্দিষ্ট এ পাঁচজন বা এ বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবে।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন তিনি। দাবি করেন, আগে-পেছে অনেক কথা কেটে দিয়ে একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে দুই মিনিট ১১ সেকেন্ডের বার্তায় কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আলাল বলেন, ‘আগে এবং পেছনের অংশ বাদ দিয়ে মাঝখান থেকে পছন্দ করে ভয়ঙ্কর একটি লাইন প্রচার করা হচ্ছে। যেটি আমার জন্য, দলের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতিকে আহত করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দেয়ার ইঙ্গিত দিলেন আলাল। কী ভয়ঙ্কর কথা! রাজনীতির শুরুর থেকে যাদের ছায়ায়, যাদের দোয়ায়, যাদের আশ্রয়ে আমি এ পর্যন্ত এসেছি তাদের নিয়ে কেন এমন কথা বলবো।’
তিনি বলেন, ‘একটা বিষয়, তাদেরই করা টকশো, এখান থেকে কাট করে নিয়ে আগে-পেছনের কথা বাদ দিয়ে ছেড়ে দিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা — এটা কোন ভালো বা গঠনমূলক সাংবাদিকতার নমুন বহন করে না। ‘কোন প্রলোভন, কোন ভয়, কোন কিছুতে পরোয়া না করে জাতীয়বাদী সৈনিক হিসেবে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তায় সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছি।’
কিউএনবি/আয়শা/২৬ এপ্রিল ২০২৪,/দুপুর ২:৪৮