জানা গেছে, জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়া তিনমাস ধরে কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি কিশোরগঞ্জ আদালতে পেশকারের সহকারী হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন।
গত ২৯ মার্চ বন্ধু মিজান শেখের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে গুরুদয়াল কলেজের দিকে যান মোখলেছ উদ্দিন। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। ওই দিন রাতে হারুয়া এলাকায় কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে মিজানের সঙ্গে মোখলেছ উদ্দিনকে দেখা যায়। পাওনা টাকা ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যার পর নদীতে মরদেহ গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মিজান শেখ মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের সেফুল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে মিজানসহ অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করা হয়। মিজানুর রহমান জানান, পাওনা টাকা ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার ভাইকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মিজান শেখ ও তার দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল থেকে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ সংলগ্ন মুক্তমঞ্চ এলাকায় নরসুন্দা নদীতে অভিযান চালানো হয়। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, অপহরণের পর তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়েছে এমন ধারণা থেকে নরসুন্দা নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়া মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজুর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে গত ১৩ এপ্রিল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান মকবুল হোসেন।