রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
দুবাই ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মুস্তাফিজ রাঙামাটিতে মাছের ট্রাকে পাঁচারকালে বস্তাভর্তি ভারতীয় সিগারেট জব্দ নিরাপত্তা ও সম্প্রীতির কাজে নিবেদিত বিজিবির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচারের প্রতিবাদ।  আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ শিক্ষকরা হচ্ছে যুগ পরিবর্তনের কারিগর–ফজলে হুদা বাবুল তারুণ্যের মুখোমুখি জামায়াত প্রার্থী ব্যারিস্টার সালেহী ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো গ্রেফতার প্রিন্সেস ডায়ানার সেই রিভেঞ্জ ড্রেসের মূল্য এখন ৬ লাখ ডলার হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান বাভুমার অসাধারণ কীর্তির পরও চাপের মুখে প্রোটিয়ারা

শিশুদের প্রতি সদয় হতে বলে ইসলাম

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৬৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : শিশুদের প্রতি সদয় হতে বলে ইসলাম। শিশুদের প্রতি আমাদের সবারই বন্ধুসুলভ আচরণ করা উচিত। কারণ আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের স্নেহ করা এবং তাদের প্রতি সদয় হওয়া এবং মমত্বপূর্ণ আচরণ করা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। 

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিশুদের খুব স্নেহ করতেন। তাদের প্রতি তিনি খুব যত্নবান ছিলেন। শিশুদের অধিকার ক্ষুণ্ণহলে বা কেউ তাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করলে তিনি খুব কষ্ট পেতেন। ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় মহিলারা যখন মসজিদে এসে জামাতে শরিক হতো তখন শিশুদের কান্না শুনলে নবীজি নামাজ সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন। 

তাঁর আদরের নাতি হজরত হাসান ও হুসাইন (রা.) নামাজরত অবস্থায় নবীজির কাঁধে চড়ে বসতেন। যতক্ষণ তারা ইচ্ছা করে না নামতেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিজদা থেকে মাথা তুলতেন না। জনৈক সাহাবি তাদের এহেন আচরণে নবীজির নামাজের ব্যাঘাত হয় মনে করে মৃদু ধমক দিলে নবীজি খুবই অসন্তুষ্ট হন। সব শিশুকেই তিনি আদর করতেন। 

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, একজন বেদুইন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে শিশুদের স্নেহভরে চুমু খেতে দেখে বললেন, আপনারা কি শিশুদের স্নেহভরে চুমু খান? আমরা তো শিশুদের স্নেহভরে চুমু খাই না। নবীজি বললেন, আল্লাহ তোমার হৃদয় থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নিয়েছেন। তাতে আমার কী করার আছে। অর্থাৎ তোমাদের হৃদয়ে শিশুদের প্রতি মায়া নেই বলে তুমি শিশুদের স্নেহভরে চুমু খেতে পার না। 

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কন্যাশিশুদের প্রতি বেশি যত্নবান হতে নির্দেশ দিয়েছেন। ছেলের তুলনায় মেয়ে সন্তানের ভালো খাবার এবং ভালো পোশাক-পরিচ্ছদ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে তারা অবহেলার শিকার না হয়। 

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কেউ যদি কন্যাসন্তানের প্রতিপালন নিয়ে কষ্টে পড়ে এবং ধৈর্য ধরে তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ ও যত্নসহকারে লালনপালন করে এবং তাদের শিষ্টাচার করে গড়ে তোলে কিয়ামতের দিন এ কন্যাসন্তানরা তার জন্য জাহান্নামের মাঝে আড়াল হয়ে দাঁড়াবে।’ বুখারি, মুসলিম।

ইসলামের আবির্ভাবের আগে আরবে অনেকে কন্যাশিশুর জন্মদানকে অপমানজনক মনে করত। তাদের জীবিত কবর দেওয়ার নির্দয় ঘটনাও ঘটেছে আইয়ামে জাহেলিয়ায়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। কোরআনে শিশু হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি তিনজন মেয়ে অথবা তিনজন বোনকে সুন্দরভাবে আদব শিক্ষা দিয়ে তাদের প্রতি সদয় হয়ে প্রতিপালন করবে, বিয়ের মাধ্যমে তারা স্বাবলম্বী হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেবেন। এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন দুজনকে প্রতিপালন করলে? নবীজি বললেন দুজনকে করলেও। এমনকি একজনের কথা বললেও নবীজি একই কথা বলতেন।’

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

কিউএনবি/অনিমা/১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/বিকাল ৫:২২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

November 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit