খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের জাজিরার একটি আঞ্চলিক সড়কে সেতুর মাঝে ধ্বসে ঢালাই ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ভোগান্তিতে পরেছে উপজেলা সদরে যাতায়াত করা দুই ইউনিয়নের মানুষ। জাজিরা-পালেরচর সড়কের গরম বাজার এলাকার ওই সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবী স্থানীয়দের।শরীয়তপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ও পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন দুটি পদ্মা নদীর তীরবর্তি। উপজেলা সদর থেকে পালেরচর ইউনিয়ন ও পূর্ব নাওডোবার বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা ছিল কাঁচা। ২০১২ সালে উপজেলা সদর থেকে পালেরচর বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে এলজিইডি। তখন গরম বাজার এলাকায় থাকা একটি পুরাতন সেতু সংস্কার করে সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়। ওই সড়কের সেতুটি পারাপার হয়ে পালেরচর ও পূর্ব নাওডোবার মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। এলাকার কৃষিপণ্য আনা নেয়া করেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ওই সড়ক দিয়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, ভ্যান-রিক্সা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাক্রো ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করত।
গত বছর পালেরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরম বাজার এলাকার ওই সেতুটির মাঝ বরাবরে ঢালাই ধ্বসে যায়। প্রথমে একটি ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়। আস্তে আস্তে গর্তটি বড় হতে থাকে। ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে । যার কারণে ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। মাঝ বরাবরে ভাঙা থাকায় সেতু দিয়ে যানবাহন চালাতে পারেন না। ঠেলে ভ্যান-রিক্সা পারাপার করা হয়। আর অন্য কোন যানবাহন পারাপার হতে পারে না।পালের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, সড়কটি পাকা করার ১৫ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটির বয়স ২৬-২৭ বছর হয়েছে। কিন্তু তাও মাঝ বরাবরে ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন ভ্যান-রিক্সা ছারা অন্য যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। এ এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পরেছে। সবচেয়ে কষ্টে আছেন কৃষকরা। সেতুটি নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী, ইউএনও, ডিসি ও সংসদ সদস্যর কাছে অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এখনো সেতুটি নির্মাণ বা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
পালেরচরের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের এলাকাটি কৃষি প্রধান। সারা বছর পেয়াজ, রসুন, ধনিয়া, কালিজিরা, শাক-সব্জিসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করি। তা বিক্রি করতে যেতে হয় কাজিরহাটসহ বিভিন্ন হাটে। কিন্তু সেতু ভাঙা থাকায় আমাদের পণ্য সামগ্রী আনা-নেয়া করতে কষ্ট হচ্ছে। এক বছর ধরে কৃষিপণ্য মাথায় করে সেতু পারাপার করতে হয়।জাজিরা-পালেরচর সড়কে চলাচলকারি ভ্যান চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ভ্যান নিয়ে ব্রিজে উঠলে ভয় লাগে। ভ্যান চালিয়ে ব্রিজ পারাপার হওয়া যায় না। চলাচলের বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুকি নিয়ে চলছি।শরীয়তপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম বলেন, শরীয়তপুরে আমার নতুন কর্মস্থল। কোন সড়কে সেতু সমস্য তা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। জাজিরা-পালেরচর সড়কের যে সেতুটির সমস্যার কথা শুনলাম তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/বিকাল ৩:১৩