আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি বলেন, ‘সাঈদ হাফিজ ভারতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়াও তিনি একজন জাতিসংঘ ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী। তাই আমরা তার একটি বিশেষ মামলায় বিচারের জন্য ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে বলছি। আর আমরা এর জন্য প্রাসঙ্গিক নথিও পাকিস্তান সরকারকে দিয়েছি।’
তবে এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বেলুচ বলেন, ‘ভারতের বার্তা পেয়েছি। পাকিস্তানের কাছে অর্থ পাচারের আসামি সাঈদ হাফিজকে ফেরত দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ভারত।’
তিনি আরও বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক প্রত্যপর্ণের চুক্তি নেই। তবুও ভারত সাঈদ হাফিজকে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে বলছে।
প্রসঙ্গত, সাঈদ হাফিজ পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। এ গোষ্ঠীটি ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ হামলায় মুম্বাইয়ে শতাধিক নিরস্ত্র মানুষ হতাহত হন। এর জন্য ২০০৮ সালে জাতিসংঘ তাকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে। এরপর ২০১৯ সালে সাঈদকে অন্যান্য কারণে কারাবন্দি করে পাকিস্তান সরকার। পরে ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাকে ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের’ জন্য ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
তবে প্রায় দুই দশক পার হলেও জাতিসংঘ ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিযুক্ত করেনি দেশটির সরকার। আর ভারতের কাছেও ফেরত দেয়নি। জানা গেছে, হাফিজ সাইদ পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লীগের (পিএমএমএল) হয়ে ২০২৪ সালে পাকিস্তানে নির্বাচন করবে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের জন্য জাতীয় ও প্রাদেশিক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
কিউএনবি/আয়শা/৩০ ডিসেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:১৫