অপুর প্রতিবেদনের পর নাগরিকত্ব পাওয়া সেই লুসিকে দেখতে যাচ্ছেন শেখ রেহানা
Reporter Name
Update Time :
শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
১৪৩
Time View
ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও। সেখান থেকে লুসির আবাসস্থল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন চার্চে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করবেন শেখ রেহানা।
জানা যায়, ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্ম নেন লুসি হল্ট। তার বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। ১৯৪৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন লুসি। ১৯৬০ সালে অক্সফোর্ড মিশনের একজন কর্মী হিসেবে বাংলাদেশে আসেন তিনি। নিয়োজিত হন মানবতার সেবায়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় সহযাত্রীরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তিনি থেকে যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় আত্মগোপনে থেকে যশোর হাসপাতালে আহতদের সেবা দেন।
দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বপক্ষে চিঠি লেখেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধাহতদের সেবা করেন। দেশ স্বাধীনের পরও তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। মায়ার বন্ধনে থেকে যান। যুদ্ধ পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিও দেন লুসিকে। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন লুসি।
তিরানব্বই বছর বয়সী লুসি শেষ জীবনে স্থায়ী হয়েছেন বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনে। তার জীবনের একমাত্র চাওয়া ছিল বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এবং বরিশালের মাটিতে যেন তাকে সমাহিত করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে ধরনা দিয়েও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাননি। এছাড়া অর্থ সংকটে নিজের চিকিৎসা চালানো এবং ব্রিটিশ নাগরিক লুসির বাংলাদেশের ভিসা ফি নবায়নে বছরে ৪০-৪৫ হাজার টাকা যোগাড় করাও ছিল কষ্টসাধ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পাসপোর্ট নিচ্ছেন লুসি হল্ট। ছবি: সংগৃহীত
অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন বলেন, ‘লুসির জীবনের নানা দিক নিয়ে ২০১৬ সালে প্রথম ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন শুরু করেন তৎকালীন ডিবিসি টেলিভিশনে সাংবাদিক ও বর্তমানে সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপু। এর ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি বরিশালের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য, বিভাগীয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাসহ বরিশালের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের নিয়ে ডিবিসি নিউজের আয়োজনে নগরীর বিডিএস ক্লাবে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয় লুসি হল্টকে। ওই অনুষ্ঠানে লুসির আজীবন ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন অপসোনিন ফার্মার প্রকল্প সমন্বয়ক রফিকুর রহমান এবং নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন তার হাতে। এ অনুষ্ঠানের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘লুসিকে নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। তৎপর হয়ে ওঠে বরিশালের স্থানীয় প্রশাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসা ফি মওকুফযুক্ত পাসপোর্ট তুলে দেন লুসির হাতে। পরে প্রধানমন্ত্রী লুসির স্বপ্ন পূরণে গণভবনে লুসিকে ডেকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেন।’
সেই লুসির শারীরিক খোঁজ নিতে সশরীরে স্বয়ং লুসির ঘরে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। আজই (শুক্রবার) তার অক্সফোর্ড মিশনে যাওয়ার কথা। তার এ আগমনকে কেন্দ্র করে এখন সাজ সাজ রব পুরো অক্সফোর্ড মিশনে।জানা যায়, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা তার সঙ্গে একান্ত কিছু সময় কাটাবেন। এমন খবরে দারুণ খুশি বৃটিশ বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক লুসি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও। সেখান থেকে লুসির আবাসস্থল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন চার্চে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করবেন শেখ রেহানা।
জানা যায়, ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্ম নেন লুসি হল্ট। তার বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। ১৯৪৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন লুসি। ১৯৬০ সালে অক্সফোর্ড মিশনের একজন কর্মী হিসেবে বাংলাদেশে আসেন তিনি। নিয়োজিত হন মানবতার সেবায়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় সহযাত্রীরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তিনি থেকে যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় আত্মগোপনে থেকে যশোর হাসপাতালে আহতদের সেবা দেন।
দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বপক্ষে চিঠি লেখেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধাহতদের সেবা করেন। দেশ স্বাধীনের পরও তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। মায়ার বন্ধনে থেকে যান। যুদ্ধ পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিও দেন লুসিকে। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন লুসি।
তিরানব্বই বছর বয়সী লুসি শেষ জীবনে স্থায়ী হয়েছেন বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনে। তার জীবনের একমাত্র চাওয়া ছিল বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এবং বরিশালের মাটিতে যেন তাকে সমাহিত করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে ধরনা দিয়েও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাননি। এছাড়া অর্থ সংকটে নিজের চিকিৎসা চালানো এবং ব্রিটিশ নাগরিক লুসির বাংলাদেশের ভিসা ফি নবায়নে বছরে ৪০-৪৫ হাজার টাকা যোগাড় করাও ছিল কষ্টসাধ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পাসপোর্ট নিচ্ছেন লুসি হল্ট। ছবি: সংগৃহীত
অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন বলেন, ‘লুসির জীবনের নানা দিক নিয়ে ২০১৬ সালে প্রথম ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন শুরু করেন তৎকালীন ডিবিসি টেলিভিশনে সাংবাদিক ও বর্তমানে সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপু।
এর ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি বরিশালের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য, বিভাগীয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাসহ বরিশালের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের নিয়ে ডিবিসি নিউজের আয়োজনে নগরীর বিডিএস ক্লাবে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয় লুসি হল্টকে। ওই অনুষ্ঠানে লুসির আজীবন ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন অপসোনিন ফার্মার প্রকল্প সমন্বয়ক রফিকুর রহমান এবং নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন তার হাতে। এ অনুষ্ঠানের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘লুসিকে নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। তৎপর হয়ে ওঠে বরিশালের স্থানীয় প্রশাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসা ফি মওকুফযুক্ত পাসপোর্ট তুলে দেন লুসির হাতে। পরে প্রধানমন্ত্রী লুসির স্বপ্ন পূরণে গণভবনে লুসিকে ডেকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেন।’
সেই লুসির শারীরিক খোঁজ নিতে সশরীরে স্বয়ং লুসির ঘরে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। আজই (শুক্রবার) তার অক্সফোর্ড মিশনে যাওয়ার কথা। তার এ আগমনকে কেন্দ্র করে এখন সাজ সাজ রব পুরো অক্সফোর্ড মিশনে।জানা যায়, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা তার সঙ্গে একান্ত কিছু সময় কাটাবেন। এমন খবরে দারুণ খুশি বৃটিশ বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক লুসি।