ডেস্ক নিউজ : কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না। আমাকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেই চিঠি আচরণবিধিতে চলে না। আমাকে কী সাজা দেওয়া হবে, সেটা জানতে এসেছিলাম; কারণ আমি তো আইনজীবী না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহার বলেন, যেদিন আমি বক্তৃতা করি, তার ঠিক আগের দিন একজন রিকশাওয়ালা মারা গেছেন। পত্রিকায় আমি এভাবে পেয়েছিলাম, একজন রিকশাওয়ালা তার সন্তানদের লেখাপড়া করান। তিনি সেদিন একটি গ্যারেজে ঘুমিয়েছিলেন। সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কারণ তারা (বিএনপি) নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর দুই দিন হাসপাতালে কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন।
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ওই উঠান বৈঠকে এমপি বাহার বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট। বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচনে আসেনি। কোনো বিএনপি-জামায়াতের কর্মীকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তার হাত-ঠ্যাং (পা) ভেঙে দেবেন আপনারা। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। কোনো ভয়ের কারণ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে কুমিল্লার মানুষ।
বাহার বলেন, ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। একজন নারী ও একটি শিশু মারা গেছে। এগুলো আমাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিয়েছে। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিষয়ে বলেছিলাম। তারা তো প্রতিহতের নামে মানুষ হত্যায় লিপ্ত। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তারা ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, যাতে ওই কাজগুলো তারা না করতে পারে, সেজন্য মানসিক জোর বাড়াতে এমন কথা বলেছি।
আপনি কী এমন কথা বলতে পারেন- প্রশ্নে বাহার বলেন, এটা আমার রাজনৈতিক বক্তৃতা ছিল। নির্বাচনের আচরণের ভেতরে যদি না পড়তাম, তাহলে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না; কিন্তু আমি এত বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম, মনে হয়েছে কিসের রাজনীতি আমরা করি, মানুষ হত্যার রাজনীতি করি? আমরা তো প্রোগ্রাম করি, আমরা তো মানুষ হত্যার রাজনীতি করি না।
বাহার বলেন, আমি তো মুক্তিযোদ্ধা। আমি একটি থানা দখল করেছিলাম। ৫২টি মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছি। তখনই উপলব্ধি করতাম, কখন দেশ স্বাধীন হবে, আর আমাদের মেয়েরা নিরাপত্তা পাবে। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের মেয়েরা নিরাপদ না। ট্রেনে উঠলে সেই ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয়, শিশুসহ মারা যায়।
আপনার আসনে একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে- এ বিষয়ে বাহার বলেন, ৭১ টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি নিরপেক্ষ না থেকে আমার বিপক্ষে খণ্ডিত নিউজ দিচ্ছেন। আমি তাকে বলেছিলাম, দয়া করে আমার নিউজ দেওয়া লাগবে না আপনার। এটা কি বলা অপরাধ হয়ে গেছে? খণ্ডিত নিউজ দিয়ে আমাকে বিব্রত করবেন না- এটা বলার অধিকার আমার নেই?
কিউএনবি/আয়শা/২৬ ডিসেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:০১