ডেস্কনিউজঃ আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মানববন্ধন কর্মসূচির তিন দিন আগে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীরাও একই কর্মসূচি পালন করবেন। বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে দুপুর ১২টায় হাইকোর্টের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
কর্মসূচিসম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, হয়রানি ও জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই হাইকোর্টের সামনে এই মানববন্ধন হবে। এ জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা হয়েছে।
আইনজীবীসহ বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীরা যখন হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন করবেন, প্রায় একই সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে করা নাশকতার মামলার জামিন শুনানি হবে উচ্চ আদালতে।
হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে ইস্যুভিত্তিক সমাবেশ, মানববন্ধনসহ কিছু জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
এরই মধ্যে কারাবন্দি নেতাদের স্বজনদের ব্যানারে মানববন্ধন ও শ্রমিক সমাবেশ করেছে বিএনপি। মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচি নিয়ে তোড়জোড় বিএনপির
মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচি জোরালোভাবে পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। তবে এদিন রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি আওয়ামী লীগ। ফলে বিএনপি মানববন্ধনের অনুমতি পাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
গত সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা-মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর কর্মসূচি সফল করতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, মানববন্ধনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি না পেলে গুম হওয়া পরিবারের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ কর্মসূচি পালন করবে, তাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। জেলা ও মহানগর পর্যায়ে অনুমতি না পেলে সেখানে বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী ও নারী সংগঠনগুলোকে কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পর নেতাকর্মীরা কোথাও জড়ো হতে পারছে না। তাই মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচি ভালোভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে সারা দেশে দলের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ প্রকাশ্যে বের হওয়ার সুযোগ পাবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
তবে পুলিশ বলছে, অনুমতি দেওয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
ড. মহিদ বলেন, ‘১৫ নভেম্বর তফসিলের পর থেকে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার জন্য সব সংস্থা কাজ করছে। এখন নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, আমাদের বিবেচনায় নিতে হয়। নির্বাচন কমিশনও সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে, এ অবস্থায় কোথাও কিছু করতে গেলে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণকে আমরা স্বাগত জানাব। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ ডিএমপি অনুসরণ করবে।’
অবশ্য বিএনপি নেতারা বলছেন, মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া না হলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশিদের তা নজরে আসবে।
কিউএনবি/বিপুল/০৭.১২.২০২৩/ সকাল ১০.৪৪