শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে  বিশেষ মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান। মাটিরাঙ্গায় পলাশপুর জোনের বিশেষ অভিযানে  ভারতীয় পিস্তল ও তাজা গুলি উদ্ধার। শিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সেক্রেটারি জেনারেল সিবগাতুল্লাহ কুষ্টিয়া সীমান্তে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশইনে বিজিবি’র বাঁধা : পতাকা বৈঠকে ফেরত ভারতের রাজনীতিতে বিজেপির কৌশল ও কংগ্রেসের বিপর্যয়: বাংলাদেশের বিএনপির জন্য শিক্ষণীয় ভারত থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে ম্যান সিটির মালিকপক্ষ মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ: ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯’ কর্মী আটক ৪ শহীদ ওসমান হাদীর স্মরণে রাঙ্গামাটিতে নওগাঁর পত্নীতলায় তৃণমূলে গণমানুষের নেতৃত্বে গড়ে উঠছে পুষ্টি সমৃদ্ধ গ্রাম বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

নির্বাচনে আসেন, দেখি কার কত দম: শেখ হাসিনা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৫৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে আসেন, কার কত দম সেটা আমরা দেখি; জনগণ কাকে চায় সেটা আমরা যাচাই করে দেখি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১০ টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শুরু হওয়া দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আগামীতে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে তাদের বলবো আপনারা আসেন নির্বাচনে। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ইতোমধ্যে যেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এটুকু বলতে পারি এবারের নির্বাচন, আওয়ামী লীগের আমলে প্রত্যেকটা নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ হয়। এবার আমি বারবার নির্দেশনা দিয়েছি জনগণের ভোটের অধিকার…‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’ জনগণের সে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করব না। নির্বাচন কমিশন অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেটাই আমরা চাই।  

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজেরা আহ্বান করেছি যদি পর্যবেক্ষক আসতে চায় আসবে, এখানে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই। কারণ আমাদের জনগণের ভোট চুরি করতে হবে না, জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমাদের ওপর আছে।

বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস নাই এজন্য বিএনপি নির্বাচনে আসবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আসলে নির্বাচনে আসার মতো তাদের আস্থা বিশ্বাস নাই।

রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটাকে ধ্বংস করার জন্য তাদের নানা প্রক্রিয়া। এখন রাজনৈতিকভাবে তারা পারেনি, এখন অর্থনৈতিকভাবে কীভাবে চাপে ফেলবে সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পৃথিবীর কিছু মোড়ল আছে, যেখানে তাদের সমর্থন সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন না, আরেক জায়গায় যদি হয় সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। এরকম দু-মুখো—বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাটাকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত।

জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের ভোটের অধিকার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রয়োগ করবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেন, আমাদের সে ব্যাপারে কোনো কথা নেই। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমি আপনাদের কাছে দাবি করব আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেন। কিন্তু সম্পূর্ণ জনগণের ইচ্ছা, ভোটারের ইচ্ছা; যাকে খুশি তাকে দিতে পারে।

তিনি বলেন, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো, এটাই আমাদের স্লোগান। তারপরও আমি নৌকায় ভোট চেয়ে রাখলাম, কারণ এটা আমাকে চাইতেই হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নৌকা মার্কা যখন সরকারে এসেছে, তখন এ দেশের মানুষের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে, রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রিজ সব আমরা নির্মাণ করে মানুষকে আধুনিক, উন্নত জীবন দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেকটা আমরা সাফল্য অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, কাজেই নৌকা মার্কা থাকলে যে মানুষের জীবনে শান্তি থাকে, সমৃদ্ধি আসে, জীবন উন্নত হয়, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। নিশ্চয়ই দেশবাসী সেই বাস্তবতা মাথায় রেখে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থী জয়যুক্ত করে তাদেরকে সেবা করার সুযোগ দেবেন।

বিএনপি আমলের নির্বাচনের সমালোচনা করে শেষের হাসিনা বলেন, যতবার বিএনপি নির্বাচন করেছে ততবারই এই ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের উপযুক্তির অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে যে ক্ষমতা এক সময় ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিল সেটা এখন জনগণের হাতে চলে এসেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০১৪ সালে আত্মবিশ্বাস ছিল না বলেই জ্বালাও-পোড়াও করে তারা নির্বাচনে আসেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে অপবাদ দিলেও কেউ এখন পর্যন্ত অনিয়মের একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভার প্রথম দিনে কয়েকটি বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।

পর্যায়ক্রমে ৩০০ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী কয়েক দিন বৈঠক করবে দলটি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে ৩০০ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মোট ৩ হাজার ৩৬২ জন। প্রতি আসনে গড়ে ১১ জন এ ফরম কিনেছেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩ নভেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit